রংপুর: রংপুরের হারাগাছে এক কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় তার বাবা ও ভাইকে মারধর করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে হারাগাছ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
রোববার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানার পাশে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার বাবা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আব্দুর সামাদ মিয়া ও ভাই খাইরুল ইসলাম। তাদের বাড়ি একই এলাকায় বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বাড়িতে সেলাই প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সেখানে যাতায়াতের সময় স্থানীয় কিছু বখাটে প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করত। প্রতিদিনের মতো শনিবারও প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে রিদয় ও তার সহযোগীরা তাকে অশালীন মন্তব্য করে। ভুক্তভোগী মেয়ে তার ভাই খাইরুল ইসলামকে বিষয়টি জানালে তিনি উত্ত্যক্তকারীদের শাসন করেন। এ সময় উত্ত্যক্তকারীরা খাইরুলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
এরপরই শনিবার সন্ধ্যায় বখাটে রিদয়, বিজয়, রিয়াদ ও অজ্ঞাত আরও ২০ কিশোর একত্রিত হয়ে পৌর কাউন্সিলর আব্দুর সামাদের দোকানের সামনে গালিগালাজ করলে খাইরুল এর প্রতিবাদ করেন। এতে কিশোররা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করে। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুর সামাদকেও মারধর করা হয়। তাদের উদ্ধার করে হারাগাছ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলাম বলেন, বখাটেরা আমাকে এবং বাবাকে মারধর করে দোকান থেকে ব্যবসার ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
পৌর কাউন্সিলর আব্দুর সামাদ বলেন, আমি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার বিচারের পাশাপাশি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কিশোররা গা ঢাকা দিয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
আরএ