ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পার্বত্য পরিস্থিতি-উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে চার কূটনীতিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
পার্বত্য পরিস্থিতি-উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে চার কূটনীতিক চার দেশের রাষ্ট্রদূত

রাঙামাটি: রাঙামাটিতে দু’দিনের সফরে এসেছেন দুই দেশের রাষ্ট্রদূতসহ আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

মঙ্গলবার (১৫নভেম্বর) সকালে তারা রাঙামাটি আসেন।

এতে জাতিসংঘের উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্ষমতা বাড়ানো, ভবিষ্যতে উন্নয়ন কার্যক্রম অগ্রাধিকার বিষয়ে আগ্রহ জানতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে এসেছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।  

সূত্র জানায়, রাঙামাটিতে সফরের প্রথম দিনে প্রতিনিধি দলটি সকালের দিকে পৃথক পৃথকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সঙ্গে নিজ নিজ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার। এসময় প্রতিনিধি দলটি সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি ছাড়াও পার্বত্য চুক্তির আলোকে গঠিত পরিষদগুলো এখানে কিভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করে এবং এখানকার মানুষ কিভাবে তাদের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করেছে এ সম্পর্কে জানতে চান।

এসময় প্রতিনিধি দলকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি পর্যটন সম্ভাবনাময় অঞ্চল। বিশেষ করে রাঙামাটির কাপ্তাই লেককে কেন্দ্র করে যদি পর্যটন উন্নয়ন করা যায় তাহলে লেক নির্ভর এখান বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ উপকৃত হবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান শীর্ষক প্রকল্পটি ইউনিসেফের সহায়তায় চলমান রয়েছে, যা আগামী বছর ৩০ জুন শেষ হবে। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পর যাতে অব্যাহত থাকে তার জন্য ইউনিসেফের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।

অপরদিকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের অংশ হিসেবে পার্বত্য চুক্তি সই হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, ভারত প্রত্যাগত এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে টাস্কফোর্স এবং ভূমি সমস্যা সমাধানে ভূমি কমিশন সৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য চুক্তির পরবর্তী বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তির পর ইউএনডিপির মাধ্যমে বিদেশি দাতাদের সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল জাতীয়করণ, ম্যালেরিয়া নির্মূলকরণ এবং কৃষিক্ষেত্রে সাফল্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ নারী শিক্ষা উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দাতা সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।  

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান চার্ললেজ হোয়াটলি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রবার্ট সেটরন ডিকসন, নরওয়ে রাষ্ট্রদূত স্পেন রিকাটার সেভেন্টসেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গাইয়ন লিওস।

সাক্ষাতের সময়ে জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, ঝর্না খীসা, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মো. শিবলী নোমান উপস্থিত ছিলেন।
 
প্রতিনিধি দলটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও স্থানীয় নারী নেতাদের সঙ্গে  মতবিনিময় করেন।  

বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাষ্ট্রদূতদের দাতা সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত প্রত্যন্ত জুরাছড়ি উপজেলার গ্রামীন সাধারণ বন (ভিসিএফ) পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।