ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

১০ কৃতি নারী পেলেন অনন্যা সম্মাননা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
১০ কৃতি নারী পেলেন অনন্যা সম্মাননা ‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠান | ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: দেশের শীর্ষস্থানীয় নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন পাক্ষিক অনন্যা কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা-২০২১’ দিয়েছে। এবার অর্থনীতিবিদ, করপোরেট ব্যক্তিত্ব, মঞ্চাভিনেতা ও নির্দেশক, অদম্য সাহসী, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, আলোকচিত্রশিল্পী, মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক, নারী উদ্যোক্তা ও প্রথম ফিফা রেফারি নারী পেলেন এই সম্মাননা।

এছাড়া, বিশেষ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিশিষ্ট নারীকে দেওয়া হয়েছে আজীবন সম্মাননা।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘অনন্যা শীর্ষদশ সম্মাননা-২০২১’ দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। এ সময় সম্মাননাজয়ীদের একটি ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।



প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারীরা শুধু কাজ করেই যান, বিনিময়ে কিছুই পান না। সমাজ বিনির্মাণে, পরিবার গঠনে, জাতি গঠনে নারীর ভূমিকা অসামান্য। তাদের যতটুকুই সম্মান আমরা জানাতে পারি, ততটুকুই অনেক। এই মঞ্চে এমন ১০ জন নারী আছেন যারা সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে সমাজ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজেদের স্ব-স্ব অবস্থানে, নিজস্ব পেশাতেও তারা শীর্ষে অবস্থান করছেন। তাদের দক্ষতা, তাদের মেধা ও প্রতিভা দিয়ে তারা সেই জায়গাটি অর্জন করেছেন নিজের জন্য। আমি অনন্যা শীর্ষদশ জয়ী এই নারীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।

শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, এই নারীদের জীবনের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে ধৈর্য, নিরলস পরিশ্রম আর অধ্যাবসায়। বিভিন্ন বাধাকে অতিক্রম করে সাফল্যের দিকে ধাবিত হওয়ার যে অদম্য স্পৃহা, সেটি কিন্তু তাদের সফলতার নমুনা। নারীদের এই যে অদম্য চেষ্টা, এই জায়গাটি থেকেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এ বছর ‘অনন্যা শীর্ষদশ’ সম্মাননা পেয়ে এই তালিকায় যুক্ত হলেন নাজনীন আহমেদ (অর্থনীতিবিদ), বিটপী দাশ চৌধুরী (করপোরেট ব্যক্তিত্ব), ত্রপা মজুমদার (মঞ্চাভিনেতা ও নির্দেশক), শাহিনুর আক্তার (অদম্য সাহসী), সালমা সুলতানা (বিজ্ঞানী), রুদমীলা নওশীন (প্রযুক্তিবিদ), শাহরিয়ার ফারজানা (আলোকচিত্রশিল্পী), সান্ত্বনা রানী রায় (মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক), মোছা. ইছমত আরা (নারী উদ্যোক্তা) ও জয়া চাকমা (প্রথম ফিফা রেফারি)।

এই দশজন ছাড়াও আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন কারুশিল্পী সরত মালা চাকমা। রাঙ্গামাটির তবলছড়ির মাস্টার কলোনিতে ৯০ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সাত বছর বয়সে তার কারুশিল্পে হাতেখড়ি হয়। সরত মালা সারা জীবনে দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৬ সালে উইভার্স ফেস্টিভ্যালে তাকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। এখন তার একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি কম, তবুও অন্য ভালো চোখটি নিয়েই তিনি সেলাইয়ের কাজ করেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ‘অনন্যা শীর্ষদশ’ সম্মানিত করেছে ২৭০ জন কৃতি নারীকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ উল্লেখযোগ্য অনেকেই এই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানের সম্মানিত নারীদের জীবনী নিয়ে লেখক-সাংবাদিক-নির্মাতা তাপস কুমার দত্তের নির্মাণে বিশেষ প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পুরস্কার দেওয়া শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন তরুণ কণ্ঠশিল্পী মাসা ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।