নীলফামারী: একটি বিয়ের আসরে সৈয়দপুরের মিন্নি আকতার মিথুনের (২০) সঙ্গে পরিচয় হয় চীনের নাগরিক লীন ঝানরুইর (৫০)। তারপর প্রেম।
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে হয়।
বর লীন ঝানরুই চীনের গুয়ানডং শহরের চিশুয়ী টাউনের লীন সিংকের ছেলে। অপরদিকে কনে মিন্নি সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজ পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা ইপিজেডের টিএইচটি- স্পেস ইলেট্রিক্যাল কোম্পানিতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন চীনা নাগরিক লীন ঝানরুই। একই কোম্পানিতে চাকরি করতেন মিন্নিও। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে সৈয়দপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারের এক সহকর্মীর বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় লীন ঝানরুই ও মিন্নির। সেই পরিচয় থেকে গড়ে ওঠে প্রেম।
এরই মধ্যে লীন ঝানরুইকে তার কোম্পানি বিশেষ কারণ দেখিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু প্রেমিকার টানে গত ঈদুল আজহার দুদিন আগে লীন ছুটে আসেন সৈয়দপুরে। তারপর গত মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) লীন আদালতের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মোহাম্মদ লাবীব নাম ধারণ করেন। ওই দিনই শহরের অভিজাত একটি হোটেলে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৫০১ টাকা দেনমোহরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন লাবীব ও মিন্নি।
এ ব্যাপারে মিন্নি আকতার মিথুন বলেন, মুসলিম শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়েছে। চাকরি বড় বিষয় নয়, দুজনই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সংসার গড়তে চাই। লাবীব যদি তার দেশে নিয়ে যেতে চায়, তাহলে অবশ্যই চলে যাব।
বরের সঙ্গে বয়সের ব্যবধান নিয়ে তিনি বলেন, বয়সের পার্থক্য প্রেমে কোনো বাধা নয়।
চীনা নাগরিকের ইসলাম ধর্মগ্রহণ এবং বিয়ে সম্পন্ন বিষয়টি জানেন না বলে জানান সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে ধর্মগ্রহণ বা বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২৩
এসআই