বিখ্যাত নৃত্য পটিয়সী স্নোবল কাকাতুয়া বা সমুদ্র সিংহরাও মাইকেল জ্যাকসনের ‘থ্রিলারধর্মী’ নাচের মতোই নৃত্যমুদ্রা দেখাতে পারে। তারা একজোট হয়ে পিরওইটেস এবং শাস্ত্রীয় ব্যালে নৃত্য প্রদর্শনেও সক্ষম।
আমাদের বিবর্তনের ইতিহাসের সঙ্গে নাচের উৎপত্তি ও অন্য প্রাণীদের সঙ্গে দক্ষতার তুলনা সম্পর্কে দু’টি তত্ত্বও রয়েছে।
একটি হচ্ছে, কিছু স্পষ্ট মৌলিক দক্ষতা নৃত্য কুশলতার সঙ্গে জড়িত। যেমন-সঙ্গীতের এক একটি ছন্দ বা কিছু বিট বাছাই করে মানুষ তার সঙ্গে শরীর নাড়াতে সক্ষম। আরেকটি হচ্ছে- অন্য ব্যক্তির সঙ্গে শরীরের নড়াচড়া সুসংগত করা। অন্যদের অনুকরণে আরো জটিল মুদ্রাগুলো শিখে দক্ষ নর্তকী হওয়াটাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্লোরিডার সারাসোতা নিউ কলেজের পিটার কুক বলেন, ‘শব্দ মস্তিষ্কের শ্রাবণ অংশে প্রক্রিয়াজাত হয়। তখন শরীরের নড়াচড়া বাইরের অংশকে আন্দোলিত করে নৃত্য কুশলতা অর্জনে সহায়ক। জীবজগতের মাঝে নাচের এ মূল উপাদান সহজ হয়ে উঠছে মানুষ ছাড়াও অনেক প্রাণীই নৃত্য পটিয়সী’।
২০০৭ সালে একটি স্নোবল কাকাতুয়ার নাচের ভিডিওচিত্র প্রথমবারের মতো অনলাইনে দেখে গবেষকরা হতভম্ব হয়ে যান। সেখানে একটি বিট বাজানো হয়, যেটিতে আগে শুধুমাত্র মানুষই নেচেছিল। স্নোবল বিটের সঙ্গে দক্ষভাবে নাচতে পেরেছিল।
গবেষকরা বলেন, ‘সে একটি কণ্ঠশিল্পী প্রজাতির কাকাতুয়া হওয়ায় এই দক্ষতা তাকে বিট বুঝতে ও নাচতে সাহায্য করে। প্রাণীরা গতিদায়ক নৃত্য মুদ্রা মানুষের অনুকরণেই শেখে ও শক্তিশালী দক্ষতা অর্জন করে। কারণ, উভয়ে একটি মূল উপাদান অনুকরণ করে’।
জরিপধর্মী গবেষণা শেষে ২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি কাগজে গবেষকরা বলেন, ‘অনুকরণের ক্ষমতা নাচের একটি মৌলিক উপাদান। লোকেরা একই নিউরাল স্থাপত্যের অনুকরণে এসব চ্যালেঞ্জের সমাধান করেন’।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
এএসআর/টিআই