প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ দুটিই নেপালের সর্বশেষ দুই অবৈধ নাচিয়ে ভাল্লুক। এ দুটিকে উদ্ধারের মাধ্যমে নেপালে যুগ যুগ ধরে চলে আসা ভাল্লুক নাচিয়ে অর্থ আয়ের দু:খজনক অধ্যায় শেষ হলো বলে দাবি করা হচ্ছে।
১৮ বছর বয়সী পুরুষ ভাল্লুক রঙিলা ও ১৭ বছর বয়সী নারী ভাল্লুক শ্রীদেবী ৭ মাস বছর থেকেই বন্দিজীবন কাটাচ্ছিলো। গরম সুইয়ে নাক ফুটো করে তাতে রড আর দড়ি ঢুকিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হতো তাদের। হাট-বাজারে মানুষের জমায়েত ঘটিয়ে নিষ্ঠুরভাবে ওদের নাচিয়ে টাকা তুলতো মালিক। মালিকের মোবাইল ফোন ট্রেক করে ভাল্লুক দুটি খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়।
উদ্ধারের সময়ে ভাল্লুক দুটি নানা রোগে ভুগছিলো। মানসিক ভারসাম্যও ঠিক ছিলো না। ক্রমাগত দড়ির চাপে নাকের ফুটোও বড় হয়ে গেছে। ভালুর দুটির মালিক প্রান্তিক প্রর্যায়ের গরীব হওয়ায় ঠিকমতো খাবারও দিতে পারতো না। ভালুক নাচিয়ে খুব বেশী আয় যে হতো তাও নয়। তাই ভাল্লুক দুটি দিন দিনি দুর্বল হয়ে পড়ছিলো।
বর্তমানে তাদের আমলেকগুঞ্জ বনের বন্যপ্রাণী কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুবেলা দেওয়া হচ্ছে দুধ-ভাত।
গ্রিস ও তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে ভাল্লুক নাচিয়ে অর্থ আয়ের প্রথা বন্ধ হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে এক নাচিয়ে ভাল্লুক উদ্ধার করা হয়েছে ভারতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
জেডএম/