ঢাকা: গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব অর্থনীতির প্রতিটি খাতকেই প্রভাবিত করবে। আমাদের উৎপাদন খরচ, পরিচালন খরচ বিবেচনা করে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।
গ্যাস উত্তোলনের জন্য যে ধরনের বিনিয়োগ দরকার ছিল, যে ধরনের এক্সপ্লোরেশন দরকার ছিল; সেগুলো আমরা আগে করিনি।
এর ফলে এখন একটা বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক বেশি মূল্যে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। আগের পুঞ্জীভূত যে সমস্যা, সেই সমস্যাই এখন আমাদের এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।
অবশ্যই আমাদের বিনিয়োগকারী বলি, আমাদের ভোক্তা বলি, উৎপাদন বলি; সব জায়গায়ই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আবার অন্যদিক থেকে সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার সক্ষমতাও অনেক সীমিত। সুতরাং এটা অবশ্যই অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু আবার এটার বাধ্যবাধকতাও আমরা বুঝি।
এই সমস্যা সমাধানের কোনো স্বল্পমেয়াদি সমাধান নেই।
তবে আমাদের বাপেক্সকে দিয়ে আরো উদ্যোগ-উদ্যম নিয়ে এক্সপ্লোরেশন করতে হবে। প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট যেগুলো হচ্ছে সেখানে অফশোরে বে অব বেঙ্গলে টেন্ডার দ্রুত করে যদি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারি, তাহলে হয়তো এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। মধ্য মেয়াদে সেদিকে নজর দিতে হবে। কিন্তু স্বল্প মেয়াদে বাধ্য হয়েই আমাদের এই চাপটা সহ্য করতে হচ্ছে।
মূল্যবৃদ্ধির পরও ব্যবসায়ীরা গ্যাসের সরবরাহ পাচ্ছেন না।
নতুন সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না, যাদের সংযোগ আছে তারাও পাচ্ছে না। ভোক্তা ও উৎপাদক—দুই পর্যায়েই আমরা এই সমস্যা দেখছি। এটার কোনো স্বল্পকালীন সমাধান নেই। কিন্তু এখন থেকেও যদি একটা মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগুলোকে ট্যাকল করি, যদি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায় তাহলে এই সমস্যা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। কিন্তু বর্তমানে অবশ্যই এটা একটা চাপ সৃষ্টি করছে সব স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপর।
লেখক : সম্মাননীয় ফেলো, সিপিডি
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা,জানুয়ারি, ০৮,২০২৫
এসআইএস