ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

শান্তি আনুন দেশে আর মানুষের মনে

ফজলুল বারী, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১
শান্তি আনুন দেশে আর মানুষের মনে

জাতিসংঘের বক্তৃতায় বিশ্বশান্তির জন্য নিজস্ব ৬ দফা রূপরেখা পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি লোকজনের পক্ষ থেকে এমন একটা তৎপরতা অনেকদিন ধরেই চলে আসছে।

আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে একটি দল মিশনটি নিয়ে সরকারি খরচে দেশে দেশে ঘুরেছেও। তেমন একটি দল সিডনি এসে চল্লিশ-পঞ্চাশজন বাঙ্গালির সমাবেশে বক্তৃতা করে গেছে। কিন্তু কার পরামর্শে এমন একটি মিশন তা অনেকের কাছেই স্পষ্ট ছিলো না, এখনো নয়!
 
আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের সময়ে সরকারি একটি গ্রুপের শেখ হাসিনার জন্য ডিগ্রি জোগাড়ের একটি বাতিক ছিল। এ দফায় সেটি কম। ত্রিপুরার যে বিশ্ববিদ্যালয় ডি-লিট ডিগ্রি দিচ্ছে সেটি অবশ্য সম্মানের। তবে এবার শুরু হয়েছে শান্তির তত্ত্ব প্রচারের ‘বাতিক’! সত্যমিথ্যা জানি না একদল বলার চেষ্টা করেন, ড. ইউনুসের সঙ্গে  ক্যাচাল-কাইজ্যা শুরুর পর এ ধারাটির শুরু। একদল নাকি বলেছেন, `আপা, এভাবে এগোলে ইউনুসের মতো শান্তির নোবেল আপনার ঠিকানায়ও চলে আসবে!`
 
ড. ইউনুসের সঙ্গে কাইজ্যার উত্তপ্ত সময়ে তেমন একটি কথা মুখ ফসকে যেন বলেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম! তার কথাটি ছিল পার্বত্য শান্তিচুক্তির জন্য শান্তির নোবেলতো পাবার কথা ছিল শেখ হাসিনা আর সন্তু লারমার!` যেন নোবেল কমিটি বেখেয়ালে ভুল করে অথবা যথাসময়ে তদবির জায়গামতো না হওয়াতে ভুল ঠিকানায় চিঠি পোস্ট করার মতো নোবেল দিয়ে ফেলেছে ইউনুসকে!
 
অ্যাটর্নি জেনারেল অবশ্য যা বলেননি তেমন একটি চুক্তি করা সত্ত্বেও নোবেল না পাবার রাগে-দু:খে কী শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে এ সরকার আগ্রহ হারিয়েছে! সে কারণেই কী এতবছর পর এসে নিজস্ব নীতি-প্রতিশ্রুতি জলাঞ্জলি দিয়ে বিএনপির মতো করে আওয়ামী লীগও বলা শুরু করেছে , বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই? এসবে দেশের মানুষের কাছে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনও তফাৎ আর থাকে নাকি!
 
এতদিন নানা জায়গায় লবিং এর পর শান্তির ধারণাটি নিজে সোজা জাতিসংঘে উপস্থাপন করলেন শেখ হাসিনা। এতে লাভ একটাই হয়েছে তাহলো পার্লামেন্টের প্রসিডিংসের মতো এটি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের প্রসিডিংসে থাকবে। আর কোনও লাভের আশা আপাতত জিরো! শান্তির ৬ দফা তত্ত্বে শেখ হাসিনা যে কথাগুলো বলেছেন, কেউ একজনও বলবে না যে সেখানে খারাপ কোনও কথা আছে। বা নিউটনের সূত্রের মতো নতুন কোনও আবিষ্কার আছে!

অথবা আগামীতে দেখা যাবে বাংলাদেশে আমেরিকা বা যে কোন দেশের যে কেউ যখন কোনও কাজ বা ব্যবসার তদবিরে আসবেন, তারা এই শান্তি তত্ত্বের ভূয়সী প্রশংসাও  করবেন। সরকারি মিডিয়ায় তখন এসবের জোরদার প্রচারও হবে। কিন্তু এসবের নেট রেজাল্ট জিরো বলার কারণ দেশের মানুষের অবস্থা আর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অবস্থান ও ইমেজ। একজন টাকা বা সার্টিফিকেট না দিলে যেখানে আমাদের চলে না সেখানে গরিবের ঘোড়া রোগ বলে ঠাট্টা-মশকরাও হতে পারে।
 
জাতিসংঘের যে অধিবেশনে শেখ হাসিনা তার শান্তি তত্ত্ব উপস্থাপন করলেন সেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দম্ভোক্তি করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা, জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের আবেদনে ভেটো দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র! শেখ হাসিনা কী জাতিসংঘের বক্তব্যে এ ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর আর বারাক ওবামার অবস্থানের নিন্দা করতে পেরেছেন? না বাংলাদেশের পক্ষে তা সম্ভব? আর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া কী করে শান্তি সম্ভব মধ্যপ্রাচ্যে? অথবা দুনিয়ায়? জাতিংঘের সাধারণ অধিবেশনের বক্তৃতায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসী নীতির নিন্দা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। ভারত  উদীয়মান বিশ্বশক্তি। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। তাদের আজকের অবস্থানের কারণে তাদের পক্ষে অনেক কিছুই মানায়। আমাদের পক্ষে না। আমাদেরতো আবার পিঁয়াজটাও ভারতে থেকে আনা লাগে!
 
সে কারণ বুঝি আমাদের সবার আগে দেশের মানুষের মনের শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মন দেওয়া জরুরি। অভাবিত অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য দেশের মানুষের এখন পয়লা নম্বর সমস্যা। বাংলাদেশের মতো একটি আমদানি নির্ভর দেশ, ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে নানান ভোগ্যপণ্য যেখানে বিদেশ থেকে ডলারে কিনে আমদানি করতে হয়, সেখানে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা বড় একটি চ্যালেঞ্জ বৈকি! কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারি তৎপরতা দেশের মানুষের কাছে স্বচ্ছ কী? না সরকার সমর্থক ব্যবসায়ী ছাড়া নয়ছয় করা বাংলাদেশে সম্ভব? দেশে সে সবজি উৎপাদন হয় এর কোনটির কেজিওতো এখন পঞ্চাশ টাকার কম নয়!
 
পরিবহন নৈরাজ্য দেশের মানুষের কাছে আতঙ্কের একটি নাম। এ সমস্যা আগেও ছিল, কিন্তু এখন যেন সেটি তেড়েবেড়ে সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে! এই নৈরাজ্যের কারণে মানুষ এখন জান হাতে ঘর থেকে বেরোয়। নিরাপদ সড়ক আর স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি এই সময়ের জনপ্রিয় একটি দাবি। যেদেশে বছরে প্রায় তিরিশ হাজারের বেশি মানুষ সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান, সেখানে মানুষের মনে শান্তি বা আশ্বাসের জায়গাটা কোথায়?
 
তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরের মতো দেশের সোনার ছেলেদের সড়ক দুর্ঘটনায়-অপঘাতে মৃত্যু আর রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থায় দেশজুড়ে অযোগ্য-ব্যর্থ যোগাযোগমন্ত্রী আবুলের পদত্যাগ দাবি যখন তুঙ্গে, প্রতিবাদী নাগরিকদের কয়েকজন শহীদ মিনারে ঈদ করলেন তখনো সরকার ভোটার মানুষজনের পাশে না এসে প্রতিবাদকারীদের জব্দ করেছে! এভাবে কী শান্তি আসে?


উল্টো সবাই দেখলো মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করে চিহ্নিত গণবিরোধী নৌপরিবহনমন্ত্রী জানালেন ফাইভ পাশ একজন ড্রাইভার দেশের প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি চালান! সরকারি দলের আরেকজন সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু, উইকিলিকসের তথ্য ফাঁস হবার পর বিব্রত অবস্থা থেকে নিজেকে কিছুটা জায়েজ করার মানসে শাহজাহান খানকে ডিফেন্ড করতে বলে দিলেন, দেশের গাড়ি চালকদের শিক্ষিত হতে হবে, এমন ধরাবাঁধা কিছু নেই। এসব বল্গাহীন কথাবার্তায় দেশের মানুষের শান্তি কমে না বাড়ে?

দেশের মানুষ জানেন এসব আমু-শাহজাহান খানরা কখনো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেননা বা তাদের তা করতে হয় না। অতএব পয়সা দিয়ে এসব পাবলিক ট্রান্সপোর্টে  জান হাতে নিয়ে চলতে গিয়ে অসহায় মানুষজনের যে হয়রানি,  বিন্দুমাত্র সে অভিজ্ঞতা থাকলে তারা অন্তত দেশের মানুষের সঙ্গে এমন মশকরা করতে পারতেন না।

এমনিতে বাংলাদেশের শিক্ষা আর সামাজিক চিন্তা-কাঠামোর কারণে ভালো পড়াশুনা করা বা ডিগ্রিধারী কেউ গাড়ি চালকের পেশায় যান না। অতএব যারা যান, তাদেরকে যে একটু ঘষামজা করে যাত্রী মানুষজনের প্রতি একটু দায়িত্বশীল, মানবিক করে তোলা সম্ভব ছিল, সেটিও আমাদের শাসকরা কোনওদিন করেননি বা করার চেষ্টাও করেননি।

আমু সাহেব বললেন, আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবই সড়ক-দুর্ঘটনার বড় কারণ। তা আইনের সঠিক প্রয়োগ সরকারি দলে থাকা অবস্থায় উনারা নিশ্চিত না করলে করবেন কবে? বিরোধীদলে গেলেতো হরতাল ছাড়া কারও কিছু করা লাগে না।
 
ঢাকাসহ প্রধান শহরগুলোর সিএনজি অটোরিকশা, ট্যাক্সিক্যাব যেখানে একটি সরকার আইনি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারে না, তাদের কাছে এসব আশা করাও যেন দূর অস্ত! আসল রোগটা যে ওখানে, এসব দায়িত্বশীল নেতা-কর্তারা যেহেতু পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেননা, তাই জনগণের ভোগান্তি-কষ্টও জানেন না! এ কারণেই কখন কোন গণবিরোধী কথাবার্তা কে কোথায় বলে ফেলছেন সে হুঁশ-জ্ঞানও যেন থাকে না তাদের!
 
যে দেশের মানুষের আইনের শাসনের গ্যারান্টি নেই, স্বচ্ছল-ধনী মানুষজন ছাড়া যেখানে ভালো উকিল ধরা বা কোর্টকাচারি করা সম্ভব না, বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে যেদেশের সরকারি ব্যবস্থাপনা সাফাই গায়, সেখানে মানুষের মনে শান্তি থাকতে পারে কী? অসুখে পড়লে চিকিৎসার টাকা জোগাড়ের দুশ্চিন্তার অর্ধেক মরে যায় যে দেশের মানুষ, টাকা দিয়েও যেখানে সুষ্ঠু চিকিৎসা পাবার গ্যারান্টি নেই, আরও টাকা আরও বেশি টাকার লোভে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের একদল দূর্বৃত্ত লোকজন যেখানে অহরহ প্রতিকারবিহীন মানুষজনকে জিম্মি করছে,  শান্তির বানী তাদের জন্য দুরাশা নয় কী?
 
সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজারের বাস্তব করুণ একটি চিত্র সবশেষ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’এ বেরিয়েছে। সৌদি আরব দেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। রেমিট্যান্সের বাজার বলতেই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আর মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরের শ্রমবাজার। কিন্তু সেগুলোয় বাংলাদেশের অবস্থা শুধুই জটিল-কঠিন হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। নতুন শ্রমবাজার, আফ্রিকায় লিজ নিয়ে কৃ্ষিজমি চাষাবাদের যে গল্পগুলো বলা হয়েছিল, এর মাঝেই যেন সেসব গল্প ফিকে-ফাঁকা হয়ে গেছে!
 
অদক্ষ শ্রমবাজার ছোট হয়ে আসছে প্রতিযোগিতার বিশ্বে । দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির বক্তৃতাগুলোর কী বাস্তব অবস্থা তা ওয়াকিফহালরা জানেন। বিদেশ পাঠানোর নাম করে এত ওপেন সিক্রেট দূর্নীতি আশেপাশের ভারত-নেপালেও সম্ভব না। ভারত-নেপালের লোকজন অনেক কম টাকায় বিদেশ যেতে পারেন। দূর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদের কথা বলে ক্ষমতায় আসা সরকার কী জনশক্তি রপ্তানিসহ কোন একটি সেক্টরের দূর্নীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে? বিএনপি-জামায়াত সরকারের চুরিচামারির গল্প এখন আর কী বাজারে খায়? তাহলো সে আমলের চিহ্নিত চোরগুলো এখন এমন ওপেনলি ঘুরে বেড়ায় কী করে?
 
দুর্নীতির অভিযোগে হতাশা আর দীর্ঘ মেয়াদের জালে আটকা পড়ে গেছে পদ্মা সেতুর স্বপ্ন! যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরকারের অঙ্গীকারের কথা জাতিসংঘের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। কিন্তু দুর্নীতি না অন্য কোনও কারণে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমকে, অন্যতম শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মীর কাশিম আলীকে আজও ধরা হয়না, এ নিয়ে নানান গুঞ্জনের জবাব দেবার মতো কোন কাজ কী সরকার করেছে? যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের তোড়জোড় চলছে তখন তাদের স্বীকৃত অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংকের টাকা নিয়ে ঢাকা শহর সাজানো হলো, এটিও কী বড় একটি রাজনৈতিক দুর্নীতি না?
 
যুদ্ধাপরাধী ঘাতক রাজাকারদের বিচারের এত দীর্ঘ অপেক্ষা-স্বপ্নের প্রক্রিয়াটির সঙ্গে আজতক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দেশের সেরা আইনজীবীদের সম্পৃক্ত করা হয়নি? এমন কী তাদের সঙ্গে একটা বৈঠকও নয়? মীর কাশিম আলীরা যেখানে লাখ লাখ ডলারের লবিস্ট নিয়োগ করছে, বিচার ভন্ডুলের চেষ্টায় দেশজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে তাদের জ্ঞানপাপী আণ্ডা-বাচ্চার দল সেখানে স্পর্শকাতর সিরিয়াস বিষয়টিতে সরকারের গাছাড়া ভাবটি দেশের মানুষের মনে শান্তি আনতে পারে কী?

দেশের মানুষের মধ্যে জ্বলজ্বলে প্রশ্ন, কোনও দুর্নীতির কারণে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির নায়কদের গায়ে ফুলের আঁচড়টিও পড়তে দেওয়া হলো না? আজও এর কোন সদুত্তর নেই কেন? এমন একশ প্রশ্নের অশান্তির প্রলেপ জনগণের মনের মধ্যে।
 
এসব ফয়সালা ছাড়া শান্তির গল্প বলা কী লোক হাসানো নয়? রাজনৈতিক হানাহানি-আশংকা দেশের বড় একটি সমস্যা। কিন্তু এর রাজনৈতিক প্রতিকারটিওতো দেশের মানুষ সরকারের কাছে চায়, তাই নয় কী? আওয়ামী লীগ-বিএনপি এই দুটি প্রধান দলের অংশগ্রহণের পরও যেখানে দেশের সংসদ চলে না সেখানে এর একটিকে অর্থাৎ বিএনপিকে বাইরে রেখে পরবর্তী নির্বাচনের চিন্তা সরকারি দলের যারা যারা ভিতরে ভিতরে করছেন, আত্মঘাতী সে পথে শেষতক থাকলে শান্তি কী আসবে থাকবে দেশে? এসব কারণেই বলা আগে শান্তি আনা দরকার নিজের দেশে, মানুষের মনে।
নানান সমস্যা, আশাভঙ্গ সত্ত্বেও দেশ আর এই সরকারের সাফল্যও কম নয়। কিন্তু নিজের ঘরে অমীমাংসিত আগুন রেখে অপরকে শান্তির কথা বলতে গেলে লোকে হাসবে। দেশকে বিদেশিদের কাছে ঠাট্টা-মশকরার বিষয়ে পরিণত করতে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনেনি।

ফজলুল বারীঃ সিডনি প্রবাসী সাংবাদিক

বাংলাদেশ সময় ১৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।