ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

পল্টন হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও বিচার চায় সিপিবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
পল্টন হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও বিচার চায় সিপিবি

ঢাকা: পল্টন ময়দানে বোমা হত্যাকাণ্ডের বিচার ও পুনঃতদন্ত দাবি করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে পল্টনে শহীদদের স্মরণে ২২তম বার্ষিকীতে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তারা এ দাবি করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম, উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা।

সমাবেশে তারা বলেন, দুর্নীতি, লুটপাট, সাম্প্রদায়িকতাকে পরাজিত করে গণতন্ত্র ও শোষণমুক্ত সমাজ, সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ধারার বাইরে বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীলদের বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে।

নেতৃবৃন্দ হত্যাকারী ও এর নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার না হওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্ষমতায় যাওয়া ও ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধের জন্য যেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া প্রয়োজন সেগুলোর বিচার করা হয় না। ২০ জানুয়ারির হত্যাকাণ্ডের পরিপূর্ণ বিচার না হওয়ায় হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হয়নি। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দীর্ঘ সূত্রিতায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তারা বলেন, বিচারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সংবাদপত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন যে, সাক্ষীরা নিয়মিত সাক্ষ্য দেন না। কিন্তু সিপিবির সাক্ষীরা নিয়মিতই সাক্ষ্য দিয়ে আসছেন। এরকম মিথ্যা তথ্য দেওয়া কর্মকর্তার দায়িত্বে মামলা থাকলে তা নিষ্পত্তি অনিশ্চিত হয়ে যাবে। এই ধারা চলতে থাকলে রাজনীতিতে সুষ্ঠু ধারা ব্যাহত হবে, আর ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখবে।


২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত সিপিবির মহাসমাবেশে বোমা হামলায় মারা যান হিমাংশু মণ্ডল, আব্দুল মজিদ, আবুল হাসেম, মোক্তার হোসেন ও বিপ্রদাস রায়। হামলায় আহত হন শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে অমর মণ্ডল, মো. জাহাঙ্গীর, আব্দুস সাত্তার, মিজানুর রহমান, এম. এ করিমসহ অনেকে এখনো পঙ্গু অবস্থায় বেঁচে আছেন।

অস্থায়ী বেদীতে আরও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ জাসদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর আসর, কৃষক সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, ক্ষেতমজুর সমিতি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, গার্মেন্ট টিইউসি, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, সিপিবি ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ), কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট শাখা, কেন্দ্রীয় দপ্তর শাখা, একতা, নারী সেল, লেখনী কম্পিউটার্স এবং ঢাকা নগরের বিভিন্ন শাখাসহ শতাধিক সংগঠন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
আরকেআর/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।