ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘নির্বাচন বানচালে বিএনপি-জামায়াত ফের খুনোখুনি করবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
‘নির্বাচন বানচালে বিএনপি-জামায়াত ফের খুনোখুনি করবে’

ঢাকা: নির্বাচনকে বানচাল করতে আগামী আগস্ট মাস থেকে বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশে আবার খুনাখুনি শুরু করবে। তাদের ষড়যন্ত্র সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক আর না আসুক, তাতে কিছু আসে যায় না। এ বছর ডিসেম্বরের শেষে অথবা আগামী বছরের (২০২৪ সাল) প্রথমে ১৪ দলের নেতৃত্ব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে আবারও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবেন। আমরা এমপি হয়ে আসব, বাকি কজগুলো করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আমরা তার সুফল পাচ্ছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন দেশ এগিয়ে যাচেছ তখন জামায়াত-শিবিরসহ যারা স্বাধীনতা বিরোধী আছে, তাদের যোগসাজশে বিএনপি আগামী নির্বাচনকে বানচালসহ দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির গভীর ষড়ন্ত্র করছে। তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করুক বা না করুক, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, এখানে বলে রাখছি আমার কাছে যতটুকু খবর আছে আগস্ট মাস আসলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। ২১ আগস্টে আর ১৫ আগস্টে আমরা তা দেখেছি। আগামী আগস্ট মাস থেকে তারা আবার খুনাখুনি শুরু করবে। তাদের ষড়যন্ত্র সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর তারা এভাবে দেশটাকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য খুনোখুনি, রাহাজানি, মারামারি, জঙ্গি তৎপরতা সবকিছু তারাবাড়াবে। এ ব্যাপারে আমি সরকারকে সচেতন থাকতে বলছি। আমরা ১৪ দলীয় জোট ইতোমধ্যেই সক্রিয়। শেখ হাসিনা নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে ঐক্যবব্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, সামনে রমজান মাস। এই মাসে কতিপয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায়। তাদের দমন করতে হবে। ইতোমধ্যে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিলেও আমি মনে করি শক্ত হাতে ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে এই পণ্যের দামের যে ঊর্ধ্বগতি আরও বেড়ে যাবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যদি সরকার শক্ত হাতে ব্যবস্থা না নেয়, তাদের যদি হাজতে না নেওয়া হয়, আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে আমাদের আরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।  

এই সংসদ সদস্য বলেন, এর আগে আমি সুইডেন ও ডেনমার্কে পবিত্র কোরআন শরিফ অবমানার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব এনেছিলাম। আমি বলতে চাই এখানে ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। আমি অনুরোধ করবো আধ ঘণ্টার জন্য হলেও এ বিষয়ে আলোচনা করে একটা নিন্দা প্রস্তাব নেওয়া হোক। আমরা মুসলমান, আমরা জীবন দিতে পারি। আমি আশা করব আন্দোলন হবে নিন্দা জানাতে। সেই সঙ্গে কোনো রকম উশৃঙ্খলতা যাতে না হয় দেশবাসীর প্রতি, ঈমানদার মানুষের প্রতি সেই আহ্বান জানাব।

বাংলাদেশ সময় ২০০৩ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।