সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর ছাড়াই কমিটি গঠন ও পরিচিতি সভা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের নামে। বিষয়টি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ডিএসএ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলকুচি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটির পরিচিতি সভা করা হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আব্দুল মমিন মন্ডল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলেও সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাসসহ দলটির একাংশের নেতারা অনুপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৭ মে বেলকুচি উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে আল-আমিনকে সভাপতি ও মীর্জা মরিয়ম খাতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সম্মেলনের ৮ মাস পর সম্প্রতি দলটির ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট খসড়া কমিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু তা পছন্দ হয়রি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন মন্ডল এমপির। সে কারণে নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের নাম দিয়ে নতুন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেন। তার দেওয়া কমিটিতে ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মির্জা মরিয়ম ও উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশানূর বিশ্বাসের স্বাক্ষর নেই। দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা দুই নেতার স্বাক্ষর ছাড়াই বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের পছন্দমতো কমিটি ঘোষণা করেন মমিন মন্ডল এমপি।
বেলকুচি সদর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মরিয়ম খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমরা পূর্নাঙ্গ কমিটির বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি করে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জমা দিয়েছিলাম। আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটির কোনো কপি পাইনি। তবে লোকমুখে শুনেছি যে, আজকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিত সভা!
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটির বিষয়ে সভাপতির সঙ্গে ইতিপূর্বেই বসা হয়েছিল। কমিটির কিছু পদ পদবি সংশোধন করে জমা দেয়ার কথা, কিন্তু পরবর্তীতে আমি কমিটির সংশোধিত কোন কপি হাতে পাইনি এবং অনুমোদনও দেইনি। তবে লোক মুখে শুনেছি শুক্রবারে ডিএসএ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচিতি সভা। এ ব্যাপারে আমি কোন কিছুই অবহিত নই।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় এমপি'র আব্দুল মমিন মন্ডল বলেন, কেউ যদি অভিযোগ করে সেটা জেলা বা কেন্দ্রের কাছে করবে। এটা তারা করতেই পারে। তবে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। আপনি ওই ইউনিটের প্রেসিডেন্ট বা সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বললে এভিডেন্স পাবেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, উপজেলা সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর ছাড়া কমিটি অনুমোদনের বিধান নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
এমএমজেড