ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ: এবি পার্টি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ: এবি পার্টি

ঢাকা: দেশব্যাপী অগ্নিবিস্ফোরণের সুষ্ঠু তদন্ত, আহত-নিহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতে বর্তমান সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

শনিবার (১১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে পার্টির নেতারা এসব দাবি করেন।

 

দেশব্যাপী অগ্নিবিস্ফোরণের সুষ্ঠু তদন্ত, আহত-নিহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।  

তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের সব নাগরিকের জীবনযাত্রা সহজ ও সমৃদ্ধ করা। কিন্তু বর্তমান সরকার নাগরিকদের জীবন কঠিন ও ক্রমাগত অসহনীয় করে তুলছে। এরা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জীবনমান উন্নত করছে। প্রশাসনের দলবাজ, দুর্বৃত্ত, ঘুষখোর কর্মকর্তাদের অবাধ লুণ্ঠনের সুযোগ করে দিয়েছে। এ সরকার অব্যাহত থাকলে আবার ৭৪-এর দুর্ভিক্ষ ফিরে আসবে। তাই জাতির স্বার্থে এ সরকারকে বিদায় করে দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, গ্যাস কোম্পানি, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরকার জোরজবরদস্তিমূলক অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন করে উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন। ফলে মানুষ যথাযথ সেবা পারছে না। বিশেষ করে রক্ষণাবেক্ষণের বিঘ্নিত হওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিবিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনা ঘটছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে তা অপর্যাপ্ত, লোক দেখানো, হাস্যকর ও মর্মবিদারক। জননিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ার মূল কারণ সরকার নাগরিকদের জননিরাপত্তার সঙ্গে জড়িতদের নিজেদের দলীয় পকেটে পুরে রেখেছে। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। তারা স্বাভাবিক কাজ করতে পারলে জননিরাপত্তা এমন বিঘ্নিত হতো না।

পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, দুর্ঘটনা সব দেশেই ঘটে থাকে। যেমনটা আমাদের দেশেও ঘটেছে। কিন্তু বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য কর্তৃপক্ষের সতর্কতা কতটুকু ছিল এবং দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ বা সরকার কী ভূমিকা পালন করেছে।  

পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ২০১০ সালে আমরা দেখেছি যে নিমতলীতে আগুন লেগে ১২৪ জন মারা গেছে, ২০১৯ সালে চকবাজারে ৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু গত কয়েক যুগ ধরে বাসযোগ্যহীন হয়ে পড়া পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের গোডাউন ও বিপজ্জনক প্লাস্টিকের কারখানা সরানোর কোনো উদ্যোগ নেই। আর কত প্রাণ ঝরলে সরকারের ঘুম ভাঙবে?

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, আমিনুল ইসলাম, শাহ আব্দুর রহমান, এম আমজাদ খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।