ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে: সাকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
সরকার দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে: সাকি

ঢাকা: সরকার মানুষের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে- এমন মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অনেক গণমাধ্যমের সম্পাদকদের মধ্যে কিছু লোক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি মিলে বিবৃতি দিচ্ছে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নাকি ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

আমি বলব এই সরকার ও তার পা চাটা ব্যক্তিরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই সরকার দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে এবং দেশের মানুষের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কে হুমকির মুখে ফেলছে।  

সোমবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

‘সরকার ও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা, র‍্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি’র প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সাকি বলেন, এই দেশে বাঁচতে হলে এই জালিম সরকারের কাছ থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। এজন্য দরকার বৃহত্তর ঐক্যের। মানুষ রাস্তায় নামলে সব বাহাদুরি শেষ। আপনারা যেভাবে আইন ভেঙে মানুষ হত্যায় নেমেছেন, তাতে এই দেশের মানুষ আপনাদের একদিন বিচারের মুখোমুখি করবে। তাই আমি বলব, সাবধান হয়ে যান, জনগণ নেমে পড়লে অত্যাচারীরা সবাই পালাবে। তাদের পায়ের তলায় কোনো মাটি থাকবে না।  

তিনি বলেন, সরকার প্রতিদিন মিথ্যা কথা বলে। মানুষ বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতায় যখন ফুসে ওঠে, তখন তাদের দরকার হয় দমন, নিপীড়ন ও ভয় দেখানোর। এসবের আয়োজন তারা পাকাপোক্ত রেখেছে। আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে দমন, নিপীড়ন ও ভয় দেখানোর আরেক অস্ত্র।

দিনমজুর জাকির হোসেন দেশের কোটি মানুষের মনের কথা বলেছেন উল্লেখ করে সাকি বলেন, রাজা তো মামলা দিয়ে বেকায়দায় পড়েছে। শেষ পর্যন্ত বেরোলো একটা ভুয়া মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলার এজাহারে লেখা আছে, শিশু জাকির হোসেন নাকি এটা বলেছে। কোন আক্কেলে এটি মনে হয় যে, এ কথা একটি শিশু বলেছে। যারা এটা ভেবেছেন, তারা উন্মাদ। তারা ভেবেছেন, এবার সুযোগ পেয়েছি, প্রথম আলোকে ধরি এবং এই বলে জেলে পুরে দিই। এরকম ভুয়া এজাহার দাঁড় করিয়ে তারা গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরেছে।  

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
ইএসএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।