ঢাকা: রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতলে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসকদের ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ চিকিৎসা চলছে তার।
সোমবার (১ মে) বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দীন দিদার বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ম্যাডাম কেবিনে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তার শারীরিক অবস্থা আগের দিনের মতোই আছে।
মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে গত শনিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।
খালেদা জিয়াকে কয়দিন হাসপাতালে থাকতে হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। ওনার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। কাজেই এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এর আগে রোববার (৩০ এপ্রিল) খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, ম্যাডাম কেবিনে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিসাধীন আছেন। আজ ওনার অবস্থা গতকালের (২৯ এপ্রিল) মতোই আছে। তবে যে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তারপর কিছুটা উন্নতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ওনার কিছু অসুস্থতা ছিল, কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী তাকে এখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই চিকিৎসায় উনি মোটামুটি রেসপন্স করছেন।
৭৮ বছরের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত ছয় দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে তিনি তার গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, মে ১, ২০২৩
টিএ/এমএমজেড