ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বর্তমান অপশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
বর্তমান অপশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

ঢাকা: ২০২৩ সালের মধ্যে বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, এই অপশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকের রাজনীতি ও ১৫ বছর আগের রাজনীতি এক নয়, রাজনীতির মৌলিক ও গুণগত পরিবর্তন হয়েছে।

তারা আরও বলেছেন, আজকে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরকার নানা গুজব ছড়াচ্ছে। আমেরিকার কূটনীতি এতো দুর্বল নয় যে, তারা নিষেধাজ্ঞা দেবে আর সরকার আগে জানবে, এটা হতে পারে না। মূলত গুজব ছড়িয়ে আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে উসকে দিতে চাইছে সরকার। সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।

রোববার (২১ মে) জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ৬ষ্ঠ মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে জাগপা।

দলের সভাপতি ব্যারিষ্টার তাসনিয়া প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম (বীরপ্রতীক)। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্কারী আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন একরাম,  ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাড. আজহারুল ইসলাম, এনডিএমের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান হিরা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, শামীম আক্তার পাইলট, সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, সাবেক জাগপা নেতা মো. হাসমত উল্লাহ, আব্দুল মান্নান, আব্দুল হালিম, মো. নাসির উদ্দীন, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্য মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আজকের রাজনীতি ও ১৫ বছর আগের রাজনীতি এক নয়। রাজনীতির মৌলিক ও গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক রাজনীতি এক হয়ে গেছে। আজকে গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারতের আগ্রাসী রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশের রাজনীতি আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। রাজপথে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনের নামতে হবে।

প্রধান বক্তা কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, শফিউল আলম প্রধান দুর্নীতি বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। সত্যিকারের অর্থে স্বাধীন সাবভৌমত্ব বাংলাদেশ চেয়েছেন। তার মৃত্যুর পর আজ দুই ভাগে বিভক্ত জাগপা। তরুণ প্রজন্মসহ জাগপা নেতাদের শফিউল আলমের আর্দশ মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

জামায়তের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে সবাই মাঠে আছে, শুধু একটি জায়গা শূন্য আছে। জনগণ ও গণতন্ত্রের পক্ষে আপনাদের রাজপথে দাঁড়াতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জাগপা সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান দেশবাসীর কাছে তার বাবা ও মায়ের জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার জন্য আবারো যদি মুক্তিযোদ্ধের মতো রাজপথে রক্ত দিতে হয়, তার জন্য প্রস্তুত আছে জাগপা। আন্দোলনের সামনের কাতারে থাকবে জাগপা। আমাদের দফা এক, দাবি এক, শেখ হাসিনা সরকারের পতন।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,  সামনে কঠোর আন্দোলনের বিপদ সংকেত আসছে, তখন আপনারা পালানোর পথ পাবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
এসসি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।