ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর বিদেশি চাপ বাড়ছে

তৌহিদুর রহমান, ডিপ্লোম্যাটিক  করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর বিদেশি চাপ বাড়ছে

ঢাকা: আগামী জাতীয় নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হয়, সে লক্ষ্যে সরকারের ওপর ধীরে ধীরে বিদেশি চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এ নিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে,  নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকার কোনো চাপে নেই।

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এরইমধ্যে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা দিয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হতে যারাই বাধা দেবে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করবে দেশটি। এর আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঢাকা সফরে এসে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়ে আসছিলেন। এছাড়া ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকগুলোতেও সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ঘোষণার মধ্যেই নির্বাচন ইস্যুতে দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি দেন ৬ প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান। চিঠিতে বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের  পার্লামেন্ট সদস্যরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ পার্লামেন্ট সদস্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলকে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। একইসঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ ও চলমান রাজনৈতিক সংকটে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশি চাপ থাকলেও তা প্রত্যাখ্যান করছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন খুব স্পষ্ট করে বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকার কোনো ধরণের বিদেশি চাপে নেই। আর সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার বদ্ধপরিকর। সে কারণেই নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা, স্বচ্ছ ব্যলট বাক্স ও  ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে তথ্যের বড় ধরনের ঘাটতি ও  অসামঞ্জস্য আছে বলে মন্তব্য করেছেন পরররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি আরও বলেছেন, এই ধরনের চিঠি অতীতেও এসেছে, আগামীতে আরও বড় আকারে আসতে পারে। জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে এই ধরনের কার্যক্রম তত বাড়তে থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
টিআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।