ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

১৯-২১ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
১৯-২১ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ

ঢাকা: আগামী ১৯ থেকে ২১ জুলাই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে জিরো পয়েন্ট মোড়ে এক সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সমাবেশে জোটের পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আগামী ১৯ থেকে ২১ জুলাই গণতন্ত্র মঞ্চ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখ রোড মার্চ করবে।

এর আগে ভয়াবহ লোডশেডিং বন্ধ, বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান এবং খাদ্যপণ্যের দাম কমিয়ে মানুষের জীবন বাঁচানোর দাবিতে তাদের সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলে বাঁধা দেয় পুলিশ। এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে তারা আব্দুল গনি রোডের জিরো পয়েন্ট মোড়ে বসে পড়েন এবং সমাবেশ করেন।

এদিকে কর্মসূচিতে যোগ দিতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীরা। সেখানে নেতারা মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

পরে দুপুর ১ টার দিকে তারা সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হয়। মিছিলটি প্রেস ক্লাব থেকে পল্টন মোড় হয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়ে গেলে পুলিশ সেখানে আটকে দেয়। সেখানে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

আ স ম আব্দুর রব বলেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই খারাপ। জনগণের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এই সরকারকে আগে পদত্যাগ করতে হবে। এই মুহূর্তে দরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই বছর বাংলাদেশের যত মুদ্রার ঘাটতি দেখা গেছে তা গত কয়েক বছরে হয়নি। এ সরকারের কাছে বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ পাবে না, নিরাপত্তা পাবে না, ভোট দিতে পারবে না। এই সরকারের যাওয়ার সময় হয়েছে। এই সরকার হচ্ছে স্বৈরাচারী, বদমাশ, লুটপাটের সরকার। এই সরকার আগে আমাদের ভয় দেখাতো, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে নানা কায়দা দেখাত। এজন্যই আমরা বলি, তোমাদের যাওয়ার সময় হয়েছে, তোমরা এবার যাও।

জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষ বিদ্যুৎ সংকটে নাকাল অবস্থায় আছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখীতে তারা কুপোকাত হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে সরকার যা করল; এখন বিদ্যুতের দাম কত বেড়েছে তা আপনারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। যে কোনো পণ্য তৈরি করতে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। ফলে বিদ্যুতের দাম বাড়ায় সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংকটকে কাজে লাগিয়ে সরকার পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছিল। এটা ১/২ পয়সা না, হাজার কোটি টাকা।

সাইফুল হক সরকারকে উদ্দেশ্যে বলেন, গরিবকে আরও গরিব বানানোর প্রজেক্ট বর্তমান বাজেট। আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ বলেছি, এখনো আপনাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার একটি রাস্তা খোলা আছে। এখন পর্যন্ত সংকট সমাধানের রাস্তা খোলা আছে। এর মধ্যে যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয়, তবে ঈদের পর গণতন্ত্র মঞ্চ আরও শক্তিশালী হবে।

মিছিলে বাঁধা সম্পর্কে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর শেখ বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, সচিবালয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানে হুট করেই কেউ মিছিল নিয়ে আসতে পারে না বা এর সামনে কেউ সমাবেশ করতে পারে না। তাই গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিল নিয়ে এখানে আসার সুযোগ নেই। এজন্যই মিছিলে বাঁধা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
ইএসএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।