ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

যা ইচ্ছে করবেন-বলবেন সেই দিন শেষ: আওয়ামী লীগকে রিজভী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৩
যা ইচ্ছে করবেন-বলবেন সেই দিন শেষ: আওয়ামী লীগকে রিজভী

ঢাকা: ‘দেশটা আওয়ামী লীগ নেতাদের বাপ-দাদার জমিদারি নয়। যখন যা ইচ্ছে সেটা করবেন এবং বলবেন সেই দিন শেষ হয়ে আসছে।

এ মন্তব্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, দেশের জনগণকে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর কাছে কৃপা প্রার্থী বানানোর চেষ্টার অবসান ঘটিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। শেখ হাসিনার প্রেসক্রিপশনে এবার কোনো নির্বাচন হবে না।

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব যা-ই বলুক না কেন অবৈধভাবে সশস্ত্র শক্তি প্রয়োগ করে আর ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না। দেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীর কাছে এটা স্বীকৃত যে অবৈধ সরকার গোটা দেশ অবৈধভাবে দখল করেছে। গত চৌদ্দ বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতের মৃত্যুর ঘটনা ছিল আতঙ্কের শিহরণ, জোরপূর্বক গুম, নারীর প্রতি সহিংসতা অতিমাত্রায় বৃদ্ধি, সাংবাদিক হত্যা, বে-আইনিভাবে আটকের ও রহস্যজনক নিখোঁজের হিড়িকের মধ্য দিয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা দেশ চালিয়েছেন। সেই প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী দেশ শাসনের অবসান ঘটাতে এবার জনগণ সর্বাত্মক প্রস্তুত আছে।

টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের লক্ষ্য দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তন করা। রিজভী এ প্রসঙ্গে বলেন, চৌদ্দ বছর ধরে অবৈধভাবে শাসনের পর আর কবে আপনি (শেখ হাসিনা) মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করবেন। আপনার আসল লক্ষ্য আপনি বাস্তবায়ন করেছেন মানুষের ভোটাধিকার, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ দেশের সম্পদ লুট করে ফোকলা করে দিয়ে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আপনি ৫-১০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচকে এখন ১ হাজার টাকায় উন্নীত করেছেন। সাধারণ মানুষকে আধপেটা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আপনার মনের ইচ্ছানুযায়ী রায় লিখিয়ে সেটি আদালতের মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছেন। বিএনপির অর্ধকোটি নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে বাড়ি ছাড়া, ঘর ছাড়া ও এলাকা ছাড়া করেছেন। আর যিনি ন্যায়বিচার করে রায় দিয়েছেন সেই বিচারককে আপনি দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছেন। নিজেদের আদর্শে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তুলে বিরোধী দল দমনে লক্ষ্য পূরণ করে যাচ্ছেন। তবে এবার জনগণ অপশাসনের দিনের অবসান ঘটাবে। মানুষ গণতন্ত্র অর্জনের জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামবে।

ঈদের আগে ও পরে বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার তথ্য তুলে ধরে রিজভী বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নিজ নিজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য সশস্ত্র সহিংসতায় এক বিভীষিকাময় পরিবেশ তৈরি করেছে। বিরোধী দলের অস্তিত্ব মুছে দেওয়ার জন্য মনে হয় তারা শপথ করে মাঠে নেমেছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, আমিনুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল আলম তেনজিং প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৩
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।