ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগে কখনো গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ছিল না: রিজভী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
আ.লীগে কখনো গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ছিল না: রিজভী

বগুড়া: আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যের মধ্যে কখনো গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ছিল না। যখনই তারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহরের নওয়াব বাড়ি সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।  

দলের পক্ষে কেন্দ্রীয় ব্রিফিংয়ের অংশ হিসেবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বগুড়ায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন।  

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা এক কঠিন দুর্দিন অতিক্রম করছি। আ.লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে সব দল বন্ধ করে দিয়ে একদল করেছে। মানুষের ভিন্নমত প্রকাশের অধিকারকে তারা বন্ধ করেছে। শুধুমাত্র তারাই কথা বলবে। আর কেউ কথা বলতে  পারবে না। আজকে একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হয়েছে ১৯৭৫ এর বাকশালের পর। নতুন কায়দায়, নতুন আঙ্গিকে তারা সেই বাকশাল কায়েম করছে।

বিএনপির এক দফা আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখনি এক দফা আন্দোলনের কথা ঘোষিত হয়েছে শেখ হাসিনা কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। আজকে শুধু দেশের মানুষই নয়, পৃথিবীর গণতন্ত্রকামী মানুষ জেগে ওঠে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে চরম প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আর এ কারণে তিনি আরও বেশি হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছে। এজন্যই আওয়ামী চেতনায় গঠিত পুলিশকে লেলিয়ে দিচ্ছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর গণতান্ত্রিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে।  

বগুড়ায় সংঘর্ষের ব্যাপারে রিজভী বলেন, বগুড়ায় ভয়াবহ তাণ্ডব হয়েছে। এ তাণ্ডব নজিরবিহীন। শতশত নেতাকর্মী হাতে, পায়ে, মাথায়, পিঠে গুলি নিয়ে তারা যার যার অবস্থানে চলে গিয়েছেন। এরপর আবার পুলিশ গ্রেপ্তার করে কিনা এই আতঙ্কও তাদের মধ্যে বিরাজ করছে।

সারাদেশ প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে আ.লীগ সন্ত্রাসীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ আজ যে নারকীয় অবস্থার সৃষ্টি করেছে। লক্ষ্মীপুরে পদযাত্রা চলাকালে চোরা গুপ্তার ফাঁদে ফেলে কৃষক দলের সজিব হোসেনকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সভাপতি মহসিন কবির সাগর ও নেওয়াজের নেতৃত্বে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে প্রায় তিন শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আরও দু’একজনের অবস্থা গুরুতর।

বগুড়ায় পদযাত্রায় দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করা হয়েছে দাবি করে রিজভী আরও বলেন, টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় কারণে ইয়াকুবিয়া স্কুলের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমাদের কাছে সব ছবি আছে, ভিডিও আছে। আপনারা চাইলে দেখাতে পারব।

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এক দফার আন্দোলন অব্যাহত চলবে। ওরা আমাদেরকে হয়তো আরও হত্যা করবে, আরও রক্ত ঝরাবে। আমাদের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ধলেশ্বরী, করোতোয়ায় হয়তো আরও রক্তস্রোত বয়ে যাবে। কিন্তু তারপরেও হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।

রুহুল কবির রিজভী বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলায় যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা ও লক্ষ্মীপুরে নিহত কৃষকদলের নেতা সজীবের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানাই।

সর্বশেষ তিনি জানান, বগুড়াসহ সারাদেশে প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও প্রায় এক হাজারের অধিক বিএনপি নেতাকর্মী।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
কেইউএ/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।