নারায়ণগঞ্জ: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, কোনো ভাইয়ের স্লোগান নয় আমাদের স্লোগান হবে একটাই জননেত্রী শেখ হাসিনার স্লোগান। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের ভালোবাসাকে পুঁজি করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে শহরের খানপুরে আয়োজিত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধাপরাধীরা এখনও বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এরা কারা এরা বিএনপি। তারা স্বৈরাচারী শক্তি, তারা দেশবিরোধী শক্তি। তারা খুনি। দেশকে পাকিস্তান বানানোর যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল তা এখনো বন্ধ হয়নি।
সংগঠনে কোন্দল ও বিভেদ দূর করতে হবে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমাদের এখন সব সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। মানুষের আমাদের প্রতি আস্থা ও ভালোবাসা থাকার পরেও আমাদের নিজেদের কৃতকর্মের কারণে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারি না। এক হতে হবে আমাদের। বাংলাদেশে আজ ক্ষুধামন্দা আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করতে পারে না। আমাদের সক্ষমতা আমাদের মর্যাদা আমাদের সম্মান আজ বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন শেখ হাসিনা। আমরা যদি ঠিক থাকি ঐক্যবদ্ধ থাকি আমাদের হারানোর শক্তি কারো নেই, বিএনপি জামায়াত তো দূরের কথা। ষড়যন্ত্রকারীরা যখনি সুযোগ পায় তখনি আঘাত হানে।
তারেক রহমানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে তারা ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশে সন্ত্রাসী রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এ সন্ত্রাসী রাজনীতি বিএনপি জামায়াত কায়েম করেছে। এ সন্ত্রাসী, আগুনের, খুনের রাজনীতি আমরা কোনোভাবে করতে দেব না। আমরা উন্নয়ন ও শান্তির কর্মসূচি করছি। এসব কর্মসূচি নিয়ে আমরা সজাগ থাকি বাংলাদেশের মানুষের শান্তির জন্য। এ দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদের এদেশের মানুষ ম্যান্ডেট দিয়েছে। এখনও এ সন্ত্রাসীদের আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। একদিনে আমরা শান্তি সমাবেশ করেছি তাই বাংলাদেশে তারা কোথাও নাশকতা করতে পারেনি। একদিনের অবরোধ দিয়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ককটেল নিক্ষেপ করেছে। বাসে আগুন দিয়েছে ট্রাকে আগুন দিয়েছে। এর নাম কি রাজনীতি এর নাম কি আন্দোলন? এর নাম সন্ত্রাসী, অগ্নিসন্ত্রাস। তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে ৭ হাজার মেইল দূরে চলে গিয়েছিল আর রাজনীতি করবে না বলে। সেখান থেকে তিনি এখন সন্ত্রাসের রাজনীতি করে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হুমকি দেয় তাদের দেখে নেবে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের হুমকি দেয় তারা চাকরি করতে পারবে না। তোমরা যদি রাজনীতি কর আমরা বাধা দেব না। তবে যদি ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাসী কর, নৈরাজ্য কর আমরা বাংলাদেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবে, প্রতিরোধ করবে।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু ও উদ্বোধক হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু উপস্থিত আছেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বাবু চন্দন শীল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
এমআরপি/জেএইচ