ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের লেবাস পরে আছে: মঈন খান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের লেবাস পরে আছে: মঈন খান

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সরকার কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে, তারা দেশে একদলীয় সরকার কায়েম করেছে।

 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের লেবাস পরে আছে। এরা মুখে বলে একটা, কাজ করে আরেকটা।  

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

মঈন খান বলেন, যে মামলায় খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছে, কাগজে-কলমে এর কোনো প্রমাণ নেই। শুধু দেশের মানুষ নয়, বিদেশিরাও জানে। আজ দেশের গণতন্ত্রহীনতা, হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাট ও বিরোধী মত দমন-পীড়নের কারণে বিশ্ব বলছে, দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার নাকি দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দিয়েছে। তাহলে সরকারের এত ভয় কেন? উন্নয়ন করে থাকলে তো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগই জয়ী হওয়ার কথা। আসলে তারা উন্নয়নের নামে জনগণের অর্থ লুট করেছে। জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে।  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাঙালির জাতির শত বছরের ইতিহাস বলে গণতন্ত্রকামী মানুষ কখনও মাথা নত করে না। এদেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জনগণের সরকার গঠিত হবে।  

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছিলেন। তারই সহধর্মিণী খালেদা জিয়া জাতির প্রয়োজনে ৮২ সালে রাজনীতিতে আসেন। সেই থেকে তিনি আপসহীনভাবে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। ১৯৮৬ সালে স্বৈরাচার এরশাদের শাসনামলে চট্টগ্রামের জনসভায় আজকের সরকারপ্রধান বলেছিলেন, যে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে সে, জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হবে। অথচ, ২৪ ঘণ্টা না যেতেই এরশাদের সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচনের যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এসব ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, এ সরকারের কাছে দেশ ও জনগণ কোনোটিই নিরাপদ নয়। এরা আবার ক্ষমতায় এলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।  

তিনি বলেন, আজ গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে আটক রাখা হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যিনি ১৮ কোটি মানুষকে একত্রিত করেছেন, সেই তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে আজ নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। আজ দেশবাসী শপথ নিয়েছে, যতদিন না দেশে গণতন্ত্র ফিরে না আসবে, খালেদা জিয়া মুক্ত না হবেন এবং তারেক রহমান বীরের বেশে এ দেশে ফিরে না আসবেন, ততদিন রাজপথ ছাড়া হবে না।  

ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল। এ সময় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তানজিল হাসান, রিয়াদ ইকবাল, রোকনুজ্জামান রোকন, নিজাম উদ্দিন রিপন, আকতারুজ্জামান আকতার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, জহিরুল ইসলাম, রিয়াদ উর রহমান,  হাসান আল আরিফসহ ছাত্রদলের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মোনাজাত করেন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএম মুসা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
টিএ/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।