ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটির দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই: ওয়ার্কার্স পার্টি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটির দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই: ওয়ার্কার্স পার্টি

ঢাকা: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো দৃশ্যমান কার্য্যক্রম নেই বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে অনুষ্ঠিত ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সভা থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভয়বাহতা উল্লেখ করে এ কথা বলা হয়।

পাশাপাশি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সভা সারাদেশে ডেঙ্গুর বিস্তৃতি ও ক্রমবর্ধমান মৃত্যুহার এবং দ্রব্যমূল্যের বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের পরিকল্পিত ঊর্ধ্বহার সম্পর্কে সরকার ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর নিশ্চেষ্ট ও নির্বিকার মনোভাবের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে।

সভা থেকে বলা হয়, মশক নিধনে যেমন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বিশেষ করে ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো দৃশ্যমান কার্য্যক্রম নেই। তেমনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঢাকায় আসতে বারণ করা ছাড়া আর বিশেষ কিছু করছে না। এ ব্যাপারে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি বিষয়ে পরামর্শও তারা গ্রহণ করছে না। অতীতে যেমন জরুরিকালীন পরিস্থিতির মতো এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হতো এবার সেটি একেবারেই অনুপস্থিত।

অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজারে কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে। বাজার মূল্যের এহেন অবস্থার পেছনে যে সিন্ডিকেট কাজ করছে সেটি স্বীকার করে নেওয়ার পরও ওই সিন্ডিকেট ভাঙার বা সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনো উদ্যোগ পর্যন্ত নিচ্ছে না। এ উভয়ক্ষেত্রেই মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজন জরুরি হয়ে পড়েছে।

সভায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনায় বলা হয় বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ যতখানি না, তার চেয়ে বেশি ডেঙ্গু ও দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি দেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। সেই বিবেচনা থেকেও এ উভয় পরিস্থিতি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতো মোকাবিলা করা প্রয়োজন।

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতায় মধ্যে রাখার জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার ওপর জোর দেওয়া হয়।

পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা।  

পলিটবুরোর সদস্য কমরেড ড. সুশান্ত দাস, কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক, কমরেড নুর আহমদ বকুল, কমরেড কামরূল আহসান, কমরেড আমিনুল ইসলাম গোলাপ, কমরেড অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হক্কানী, কমরেড হাজী বশিরুল আলম, কমরেড অধ্যাপক নজরুল হক নীলু ও কমরেড আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩
আরকেআর/জেএইচ  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।