ঢাকা: চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের বিপরীতে আবারও লাগাতার গণজমায়েতের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে সরকার পতনের একদফা আন্দোলন শুরু করেছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। আওয়ামী লীগও অনেক আগেই এ আন্দোলনকে মাঠে থেকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন পর্যন্ত জনসভা, সমাবেশ, গণসংযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে বলে দলটির নেতারা বলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েক মাস ধরে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির বিপরীতে আওয়ামী লীগও নিয়মিত পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আসছে। আগামী দিনগুলোতেও মাঠে থাকতে ইতোমধ্যে রাজধানীসহ দেশে বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু গণজমায়েতের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী শনিবার বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উত্তরায় ও দক্ষিণের উদ্যোগে যাত্রাবাড়ীতে সমাবেশ করা হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে কেরানীগঞ্জে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর টঙ্গীতে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে। এদিন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিরপুরের কাফরুলে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ২৯ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সারা দেশেও আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর কৃষক হত্যা স্মরণে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগ। ৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর অক্টোবরে নতুন করে সমাবেশ, জনসভাসহ গণজমায়েতের আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানান।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের গণজমায়েতের কর্মসূচির মাত্রা আরও বাড়বে। যারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায় সেই বিএনপি, জামায়াত, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে আমাদের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে। এ অপশক্তিকে কোনো ধরনের সুযোগ দেওয়া হবে না, ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অক্টোবরে নতুন করে আরও কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা জানান, অক্টোবর থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিভিন্ন জেলায় নির্বাচনী জনসভা, সমাবেশে অংশ নেবেন। এসব কর্মসূচিতে ব্যাপক গণজমায়েত করা হবে। জাতিসংঘের অধিবেশন থেকে দেশে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে দলের পক্ষ থেকে এসব কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।
এছাড়া অক্টোবরে পূর্বনির্ধারিত কিছু কর্মসূচিও রয়েছে। এর মধ্যে আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টানেল উদ্বোধন করবেন। ওইদিন সেখানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হবে। এ সুধী সমাবেশেও ব্যাপক গণজমায়েত করা হবে বলে জানা গেছে।
আগামী ২০ অক্টোবর রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন। মেট্রোরেলের এ অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন। এ সুধী সমাবেশকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাজধানীতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে বিশাল শোডাউন করবে আওয়ামী লীগ।
এ বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, অক্টোবর থেকে সারা দেশে আমাদের দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলায় নির্বাচনী জনসভা, সমাবেশে তিনি ধারাবাহিকভাবে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে আসার পর এসব কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
এসকে/আরবি