ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র দেওয়া জরুরি: নুরুল হক নুর  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র দেওয়া জরুরি: নুরুল হক নুর   শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রংপুরে গণঅধিকার পরিষদ কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন নুরুল হক নুর।

রংপুর: ‘জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র’ দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর।  

তিনি বলেছেন, অতীতে আওয়ামী সরকারের যে দুঃশাসন তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে একটি সংকটে ফেলেছে।

যার ফলে ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। এই গণঅভ্যুত্থানের আইনি রাজনৈতিক সাংবিধানিক সকল প্রকার বৈধতা দানের জন্য একটি ঘোষণাপত্র প্রয়োজন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস আমন্ত্রণে ‘জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র’র বিষয় আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিলিত হয়েছি। মতামত দিয়েছি। আশা করছি খুব শিগগিরই এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন হবে।  

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) নগরীর সিটি বাজারে রংপুর জেলা, মহানগর ও বিভাগীয় কার্যালয়ে অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।  

নুরুল হক নুর বলেন, আজকের যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান তার সূত্রপাত ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে। আমরা মনে করি, যেহেতু ২০২৪-এর জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে দেশের সকল মানুষ দল মত নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করেছি, লড়াই করেছে, রক্ত ঝরিয়েছে জীবন দিয়েছে। তাই জুলাই বিপ্লব ঘোষণাপত্র দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছি।  

নির্বাচনের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়নি মন্তব্য করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ বাংলাদেশ একটি ব্যতিক্রম দল। যে দলটি সেনাছাউনি কিংবা সামরিক বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় বা সরকারের আনুকূল্যে গড়ে ওঠেনি।  

ডাকুসুর সাবেক ভিপি বলেন, নব্বই পরবর্তী আমরা তরুণ প্রজন্ম মনে করি, বাংলাদেশে যে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থা ছিল, তার পরিবর্তন দরকার। কারণ, পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্ত জিইয়ে রেখে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। গণঅধিকার পরিষদ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে আগামী নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, কেন্দ্রীয় সদস্য হাজী মো. কামাল হোসেন, রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও কেন্দ্রীয় উচ্চ পরিষদ সদস্য হানিফ খান সজীব, রংপুর মহানগর আহ্বায়ক সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমানসহ রংপুরের নেতৃবৃন্দ। পরে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর সড়ক পথে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় আয়োজিত জনসভায় যোগ দিতে রওনা দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।