ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের সমর্থন দেয়নি, যারা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, ওই পাক বাহিনীকে যারা অস্ত্র দিয়েছিল, তাদের মোকাবিলা করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা পরাজিত হইনি।
তিনি আরও বলেন, আজকেও বলতে চাই, মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে পশ্চিমা বিশ্বের কিছু দেশ, কিছু নেতা যারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন, নানা রকম কৌশল করছেন, তাদের কাছে আমরা বলতে চাই-একাত্তরে আমরা পরাজিত হইনি, ওই নৌবহরের হুমকিতে আমরা পালিয়ে যাইনি। আজকের এ সমাবেশ প্রমাণ করে, অতীতেও আমরা ব্যর্থ হইনি, ভবিষ্যতেও হবো না।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের যৌথ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হবে। এ নির্বাচন বানচাল করার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে তিনি বলেন, কীসের ভয় দেখান। গত ১৫ বছর দেখেছি আপনাদের। আন্দোলন করবেন, শেখ হাসিনাকে হটাবেন। এক ইঞ্চিও নড়াতে পারেনি। আর আছে মাত্র তিন মাস। এ সময়ে আমরা রাজপথে পাহারা দেব। যদি কোনো সন্ত্রাস করেন, অগ্নিসংযোগ করেন, নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেন, রাজপথে মোকাবিলা করবো।
কামরুল ইসলাম বলেন, ষড়যন্ত্র চলছে। একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতক ও তাদের বিদেশি মদদদাতারা একাত্ম হয়ে ষড়যন্ত্র করছে। নিষেধাজ্ঞার কথা বলে, ভিসা নীতির কথা বলে...তারা আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে ক্ষমতার পরিবর্তন করতে চায়। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়। কোনো ষড়যন্ত্র বাংলার মানুষ বরদাশত করবে না।
আবদুর রহমান বলেন, আজকে যারা মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে অতি উৎসাহী হয়েছেন, তারা জানে না খুব শিগগিরই মুখ থুবড়ে পড়বে। তারা নতুন করে আবার হতাশায় নিমজ্জিত হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
এনবি/জেএইচ