ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

খালেদা জিয়াকে ফুড পয়জনিং করা হয়েছে কিনা প্রশ্ন আমির খসরুর 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩
খালেদা জিয়াকে ফুড পয়জনিং করা হয়েছে কিনা প্রশ্ন আমির খসরুর  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

সাভার (ঢাকা): বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কেন বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না? তাকে কি ফুড পয়জনিং করেছে কিনা অথবা কোন স্লো পয়জনিং করা হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।  

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরকার পদত্যাগের ১ দফা দাবির সমাবেশে রাজধানী আমিনবাজার মিরপুর মফিদ ই আম কলেজের নতুন ভবনের মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসেব প্রশ্ন তুলেন।

 

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়ে কি করেছে, আজকে সেটি জানার বিষয় হয়ে গেছে। কেন আমাদের নেত্রীর শারীরিক অবস্থা এই জায়গায় এসে পৌঁছেছে তার পেছনে কারণ কি? একটি প্রশ্ন কিন্তু আজকে জেগেছে, তাকে (খালেদা জিয়া) বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, এর পেছনে কারণ হিসেবে অনেকে দেখছে যে তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে জেলে রাখার সময় কি খাইয়েছে, তাকে ফুড পয়জনিং করেছে কিনা, কোনো স্লো পয়জনিং করা হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নগুলো কিন্তু আজ জনমনে এসেছে। বিদেশে নিয়ে গেলে পরীক্ষার মাধ্যমে সেসব বেরিয়ে আসতে পারে।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বৈরাচারের প্রথম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সে তার প্রতিপক্ষকে হত্যা করবে। আমরা দেখেছি তারা কত লোককে হত্যা করেছে, গুম করেছে। আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রতিপক্ষকে জেলে ঢুকাতে হবে। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াই তার প্রধান প্রমাণ। কেননা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি বাইরে থাকে, এই স্বৈরাচার এই ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টের আরেকটি চরিত্র হচ্ছে, মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা, জেলে পাঠানো, বাড়িঘর আক্রমণ করা যাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মতো করে তারা দেশটা দখল করে বসে থাকবে। তারা বিচারবিভাগকে দখল করেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দখল করেছে, আজকের সরকারি কর্মকর্তাদের দখল করেছে।  

তিনি বলেন, ২৫ তারিখে এখানে সভা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। পুলিশ আগের রাতে এখানকার যেই মঞ্চ, ভেঙে দিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ছিল, যুবলীগ ছিল, জয়েন্ট অপারেশন। আমি একটি কথা বলতে চাই, আজকে বাংলাদেশের বাইরে সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। আগামী নির্বাচনকে চুরি করার পথে যারা হাত বাড়াবে, তারা কেউই রেহাই পাবে না।  

এ সময় বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শুধু নয়, বিশ্ব আজকে বাংলাদেশকে বিশ্ব বিবেক বিশ্বের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো, দেশগুলো যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যারা ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে, যারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে, যারা নির্বাচিত সরকারে বিশ্বাস করে, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, প্রত্যেকে বাংলাদেশের ওপর কঠিন নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে। সভা সমাবেশ বন্ধ করার যে প্রক্রিয়া, মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে, সবগুলো কিন্তু ডকুমেন্টেড হচ্ছে, রেকর্ড হচ্ছে নামসহ। কেউ বাদ যাবেন না কিন্তু। শুধু বিদেশিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন না, বাংলাদেশের মানুষের নিষেধাজ্ঞায়ও পড়বেন।  

কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন গণমাধ্যমতো স্বাধীন মাধ্যম, এটি কেন ভিসা নীতির মধ্যে আসবে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেন মশাই, যারা সরকারি কর্মকর্তা ভোট চুরি করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যারা ভোট চুরি করবে তাদের ওপর ভিসা নীতি আসবে, বিচারক যারা ভোট চুরির সঙ্গে জড়িত থাকবেন তাদের ওপর ভিসা নীতি আসবে, আর আপনি সাংবাদিক হয়ে ভোট চুরিকে সাহায্য করবেন, আপনার ওপরে এ নিষেধাজ্ঞা আসতে অসুবিধা কোথায়?

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ ও বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩ 
এসএফ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।