ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি দেশকে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায়: তথ্যমন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
বিএনপি দেশকে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায়: তথ্যমন্ত্রী  আলোচনা সভায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপি বাংলাদেশকে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির ‌লক্ষ্য ক্ষমতায় যাওয়া নয়, তারা জানে নির্বাচন হলেও তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব হবে না। তারা বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশটাকে তুলে দিতে চায়। তাদের  নির্বাচনের মাঠে তারা যে পানি ঘোলা করছে, সেখানে মাছ শিকার করবে অন্যরা। সেটাও তারা জানে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থেকে নামিয়ে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে দেশকে তুলে দেওয়া। দেশের সম্পদকে তুলে দেওয়া।

তিনি বলেন, দেশে যখন নির্বাচনের সময় আসে, তখন বিএনপি-জামায়াত ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি করে। আজকে যে ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মতো মানুষ শিকার হচ্ছে, সে বিষয়ে বিএনপি-জামায়াতের মুখে একটা কথাও নেই। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে সে নিয়ে বিএনপির-জামায়াতের মুখে একটা কথাও নেই। তারেক জিয়া নির্দেশ দেয়, এটি নিয়ে কোনো কথা বলার দরকার নেই। বিশ্ব মোড়লরা অখুশি হতে পারে, সেজন্য তারা একটি শব্দও উচ্চারণ করে না, তারা যদি সুযোগ পায় তাহলে নিজেদের স্বার্থে দেশটাকেই বিক্রি করে দেবে।

তিনি বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ জানাই আগামী ১০০ দিন দেশটাকে পাহারা দিতে হবে। কারণ দেশটাকে তারা বিশ্ব বেনিয়াদের কাছে তুলে দিতে চাচ্ছে। ক্ষমতা পাহারা দিতে হবে না,ক্ষমতা পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের। কিন্তু দেশটাকে পাহারা দিতে হবে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা ভেবেছে ঢাকা শহরে কয়েকটা মানববন্ধন করে, সারা দেশ থেকে তাদের অগ্নি সন্ত্রাসীদের জড়ো করে সরকার হটিয়ে দেবে! এটি আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার সরকার। কয়েকটা মানববন্ধন এবং নয়াপল্টনের সামনে ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষ জড়ো করে এবং কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে, গাড়িতে আগুন দিয়ে এ আওয়ামী সরকারকে হটানো সম্ভব নয়। তারা ১৪ সালে অনেক চেষ্টা করেছিল এবং গাড়ি ও মানুষ পুঁড়িয়েছে। এতকিছু করেও তারা শেখ হাসিনাকে হটাতে পারেনি। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এ বিষয়ে আমরা খুবই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ দৃঢ়ভাবে অংশগ্রহণ করবে। আশা করবো বিএনপিও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং তারা তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করবে। রাজপথে দাঁড়িয়ে সরকারকে হুংকার দেবেন না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুলের গলা উঁচু হলে, সারাক্ষণ  মিথ্যা কথা বললেও, তিনি কিন্তু ভদ্রলোক। আপনি এত উঁচু গলায় কথা বলবেন না। আপনি এমপি হওয়ার পরেও আপনার দল আপনাকে শপথ গ্রহণ করতে দেয়নি। আপনার দল এমপিদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও দল থেকে পদত্যাগ করিয়েছে। আপনার দলের মূল নেতারা খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান চায় না আপনারা নির্বাচনে এসে ভালো ফলাফল করুন এবং এমপি হন।

আমি ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাবো তারেক রহমানের লাঠিয়াল বাহিনীর সরদার হিসেবে কাজ করবেন না। আপনি রাজনীতিবিদ হিসেবে কাজ করুন এবং দেশের স্বার্থে কাজ করুন। তাহলে দেশ উপকৃত হবে।  

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুন সরকার রানা, আওয়ামী যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২৩
এমকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।