ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

পুলিশের ভোটে নির্বাচন জিততে বিভোর আ. লীগ: রিজভী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
পুলিশের ভোটে নির্বাচন জিততে বিভোর আ. লীগ: রিজভী 

ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পুলিশের ভোটে নির্বাচনের জেতার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বিভোর হয়ে আছে।  

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) নয়া পল্টনের বিএনপি দলীয় কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন রিজভী।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করলে জনগণ তো ভোট দেবে না, ভোট দেবে পুলিশ। পুলিশ সুষ্ঠুভাবে ভোট দেবে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে জেতানোর জন্য। ওখানে জনগণ ভোট দেবে না। পুলিশের ভোটে নির্বাচিত হবেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ এবং ২০১৮ তেও তাই হয়েছেন। সামনে ওই ধরনের আরেকটি নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছেন হাসিনা। আর সেই স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন ওবায়দুল কাদের এবং তাদের অন্য মন্ত্রীরা। তবে এবার আর তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না।

তিনি বলেন, শুনতে পাচ্ছি তাদের (আওয়ামী লীগের) অনেক লোকজন দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। যেখানে ওবায়দুল কাদেরসহ আরো অনেকেই পাসপোর্টে ভিসাও করে রেখেছেন। জবরদস্তি করে ১৪ এবং ১৮ এর মতো নির্বাচন করে তারা আবার ক্ষমতায় যাবেন। এটা যে সম্ভব না এটা তারাও জানেন। কখন যেন চলে যেতে হয় দেশ থেকে এজন্যই তারা সব ভিসা রেডি করে ফেলেছেন।  

দেশের জনগণ আর কখনোই পুলিশি নির্বাচন হতে দেবে না উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এদেশের জনগণের এবং ভোটারদের যে শক্তি তারা এবার প্রদর্শন করবে। রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। তাদের যে মালিকানা, যেটা আওয়ামী লীগ নামের একটি দুর্বৃত্ত সংগঠন কেড়ে নিয়েছে। তারা বরাবরই তাই করেছে। তারা জন্মের পর থেকেই মানুষকে এক ধরনের প্রলোভন দেখাবে, রাষ্ট্রক্ষমতা এসেই জনগণের অধিকারটা তারা কেড়ে নেবে। স্বাধীনতার পরেও যে অবস্থা হয়েছিল। আমরা বাকশাল দেখেছি। সমস্ত রাজনৈতিক দলকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এটাই আরেক রকমভাবে তারা নব্য বাকশাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।  

রিজভী বলেন, গত পরশু দিন থেকে সরকার গ্রেফতার, সভা-সমাবেশে বাধা দিয়ে তাণ্ডব শুরু করেছে।  
গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা শহরে এক ধরনের খাঁচা তৈরি করেছে গণতন্ত্রকামী মানুষকে পুরে দেওয়ার চেষ্ঠায় রয়েছে। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর মতোই তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের খোঁজ করেছেন। গতকালের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ৩০০ জনের ওপর নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।  

২৮ অক্টোবর লগি বৈঠার মতো ইতিহাস সৃষ্টি করা দিনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়ে বিএনপি নির্বাচনের যে দাবি করছে তা সরকারের কাছ থেকে আদায় করা যাবে কি না সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা জনগণের শক্তিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমরা তলে তলে কোনো কাজে বিশ্বাস করি না। ওবায়দুল কাদেরের ভাষাটাই ব্যবহার করতে হবে। ওনারা এসবে বিশ্বাস করেন। ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন দেশের রাজধানীর নাম ধরে বলেন তলে তলে ঠিক হয়ে গেছে। আর আমাদের ঠিক হয়ে গেছে অর্থাৎ যেটা প্রকাশ্য, সুস্পষ্ট, যেটা সর্বজন স্বীকৃত সেটি হচ্ছে জনগণের শক্তির ওপর ভরসা।

তিনি বলেন, জনগণের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এবং জনগণের শক্তি নিয়েই আমরা এ সরকারকে বাধ্য করব পদত্যাগ করতে। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দেওয়ার জন্য।  

রিজভী বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় একটি ধর্মীয় উৎসব থাকাতে আমাদের বড় ধরনের কর্মসূচিগুলো স্থগিত করা হয়েছে। এটি শেষ হলে আমাদের বড় একটি জনসভা হবে। এগুলো ধারাবাহিকভাবে চলবে। এর আগেও তো বড় জাতীয় সমাবেশ হয়েছে। সেই রকমই বড় সমাবেশ হবে।  

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৩ 
ইএসএস/এসআইএস  
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।