ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সংলাপের মাধ্যমে হওয়া উচিত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২৩
রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সংলাপের মাধ্যমে হওয়া উচিত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

তিনি বলেছেন, সংবিধান আমাদের যেভাবে কাঠামো করে দিয়েছে, সেটা অনুসারে সংলাপ করতে হবে।

এটা সারাহ কুকও (বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের নতুন হাইকমিশনার) স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনিও বলেছেন, সংলাপের বিকল্প নেই। সব অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার কথা বলেছেন তিনি।

বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলাপ হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উল্লেখযোগ্য কোনো আলাপ হয়নি। তিনি বলেছেন, সংলাপ হচ্ছে প্রধান হাতিয়ার। আমরা বলেছি, আমরা সবসময় সংলাপকে স্বাগত জানাই। সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত বলে আমরাও মনে করি। সংবিধান আমাদের যেভাবে কাঠামো করে দিয়েছে, সেটা অনুসারে সংলাপ করতে হবে। এটা সারাহ কুকও স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনিও বলেছেন, সংলাপের বিকল্প নেই।  অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার কথা তিনিও বলেছেন। এটা কোনো পরামর্শ না, এটা আমাদের মধ্যে আলাপচারিতা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসেছেন। আমাদের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক অনেকদিনের, সেটা স্মরণ করেই তিনি আমাদের কাছে এসেছেন। আমাদের অবৈধ কিছু অভিবাসী ব্রিটেনে রয়েছেন, আপনারা জানেন, ইউরোপের সঙ্গে আমাদের এসওপি হয়েছে, যারা অবৈধভাবে সেখানে বসবাস করেন, তাদের কীভাবে ফিরিয়ে দেবেন, সে জন্যই একটি এসওপি সই হয়েছিল। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসবেন, যে কারণে তাদের সঙ্গেও একটি এসওপি করার কথা বলেছেন। আমরাও বলেছি, শিগগিরই আমরা এই এসওপিতে সই করবো।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তারা আমাদের দেশের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা করতে চান। তারা আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিতে চাচ্ছেন। বিভিন্ন খাতে। আমরাও তাদের বলেছি, আমাদের পুলিশ অফিসাররা আগেও আপনাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সেটা আমরা অব্যাহত রাখতে চাচ্ছি। জিআইজেড নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কারাগার নিয়ে কাজ করছেন, এটা অব্যাহত রাখতে চাচ্ছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনকে কি এসওপির মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে? উত্তরে তিনি বলেন, আমরা আমাদের চেষ্টা করবোই। তারা কতখানি করবেন, সেটা তারা জানেন।

এ নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক কিছুই আলাপ হয়নি, যেটা নিয়ে আপনারা এখন প্রশ্ন করছেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলছেন, আমরা সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে করতে চাই। সংবিধান মাথায় রেখেই আমরা আলোচনা করতে চাই। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই, সহিংসতা চাই না। তিনি আলাপ-আলোচনা করার জন্য সবসময় নির্দেশ দেন, যাতে পরিস্থিতি শান্ত থাকে, সেটা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।

আপনারা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন কি না, প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা আসবে, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলবো। শর্তহীনভাবে আসতে হবে। সংবিধানের কাঠামো মেনেই আমাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সংবিধানের বাইরে যদি কেউ কিছু বলেন, তাহলে তো সেটা হবে না।

আপনারা ক্ষমতায় আছেন তাদেরকে তো আপনাদের ডাকতে হবে- এমন কথা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অনেকেই তো আসছেন। তাদের প্রয়োজনে আমাদের ফোন করছেন। তারা তো বলতে পারেন, আমরা কথা বলতে চাই, আমরা হরতাল চাই না, এটা তো তারা বলেননি কোনোদিন। আমরা তো বলছি, দরজা তো বন্ধ হয়নি। আমরা যেকোনো আলোচনায় রাজি আছি, সেটা সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে থেকে।

শনিবার ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। সেখানে বিএনপি বলে দিয়েছে, তারা আলোচনায় যাবে না। জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেটা তারা সবসময় বলে থাকে। ২০১৪ সালেও বলেছে। যে দলের প্রতি দেশের জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, সেই দল নিশ্চিতভাবে নির্বাচনে এলে জয়লাভ করতে পারবে না। তারা সংলাপ চায় না, সহিংসতা চায়।  কিন্তু আমাদের দেশের জনগণ সহিংসতা চায় না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২৩
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।