ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সেনবাগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পথসভায় গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
সেনবাগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পথসভায় গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ 

নোয়াখালী: নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের নির্বাচনী পথসভায় নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের ছেলের নেতৃত্বে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাঁচ রাউন্ড গুলি, পাঁচটি হাতবোমা ও একটি হকিস্টিক জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ঠনারপাড় গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে ও চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের বসতঘর ভাঙচুর করা হয়।  

ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের অভিযোগ, স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের নিয়মিত প্রচারণার অংশ হিসেবে ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ঠনারপাড় গ্রামে সমর্থকরা পথসভায় যোগ দেন। এসময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছোট ছেলে সাইফুল আলম দিপুর নেতৃত্বে হেলমেট পরিহিত ৫০-৬০ জনের একটি দল অস্ত্র নিয়ে পথসভায় হামলা চালান। তারা এসময় গুলি চালান এবং কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমার বাড়িতে এসে হামলা করেন। এছাড়া এসময় আমার ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করা হয়।  

স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান মানিক বলেন, নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের হেলমেট বাহিনীর লোকজন তার ছেলে দিপুর নেতৃত্বে আমাদের লোকজনকে ভয় দেখাতে ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন। নির্বাচন বানচাল করতে এবং ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে না আসে, সেজন্য এ হামলা চালানো হয়েছে। প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার চাই। আমি নিজের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গুলি ও হামলার খবর শুনেছি। পুলিশ গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে। এ বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন ও বহিরাগতদের অনুপ্রবেশের বিষয় জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, পাশের কুমিল্লা ও ফেনী জেলার বর্ডার অঞ্চল হওয়ার কারণে এখানে অবৈধ অস্ত্র ঢুকতে পারে। আমরা সে বিষয় অভিযান চালাব। সন্ত্রাসী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেব না।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটারদের পিটিয়ে মেরে ফেলব- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যের পরপরই স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর এমন হামলা হলো, এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, আপত্তিকর এ বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপটি দেখে হামলার ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। সন্ত্রাসী যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।