ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

হিসাবরক্ষককে তুলে নিয়ে হত্যাচেষ্টা, ছাত্রলীগের দুই নেতা বহিষ্কার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
হিসাবরক্ষককে তুলে নিয়ে হত্যাচেষ্টা, ছাত্রলীগের দুই নেতা বহিষ্কার

জামালপুর: টিসি নিয়ে শিক্ষার্থীকে ভর্তি না করায় জামালপুরের সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ দুই নেতার বিরুদ্ধে কলেজের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।  

এ ঘটনায় মামলার হওয়ার পর শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা ছাত্রলীগ।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের কম্পিউটার কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

সাময়িক বহিষ্কার দুজন হলেন আশেক মাহমুদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শামীম আহমেদ ও সহ-সভাপতি নাদিম হোসেন জয়।  

মারধরের শিকার কলেজের হিসাবরক্ষক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শামীম আহম্মেদ আমার কাছে এসে টিসিতে ভর্তি করতে এক শিক্ষার্থীকে তালিকায় নাম লিখতে বলেন। আমি অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া ছাড়া নাম তালিকায় না তুলতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরপর উপাধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তার সঙ্গে নাদিম হোসেন জয়সহ আরও চারজন ছিলেন। এক পর্যায়ে আমাকে টেনে হিঁচড়ে অটোরিকশায় তুলে মারধর করতে করতে পৌর কবরস্থানে নিয়ে মেরে ফেলতে চান। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে জানতে শামীম আহমেদের মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।  

জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম বাবু বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ওই দুইজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছি। তদন্ত চলছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তীতে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ করা হবে।

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হারুণ অর রশীদ বলেন, শামীম আহমেদ ও নাদিম হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন কলেজের সাধারণ শাখায় কম্পিউটার কক্ষে প্রবেশ করেন। শামীম টিসি মূলে এক শিক্ষার্থীকে কলেজে ভর্তি করতে বলেন। তখন হেলাল উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষের অনুমতি ব্যতীত ভর্তি তালিকায় অনুমোদনে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই দুজনের নেতৃত্বে তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করা হয়। এ সময় সরকারি দায়িত্ব পালনকালে তারা মারধর শুরু করেন। তারা এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা টেনে হিঁচড়ে তাকে (হেলাল) ওই কক্ষ থেকে বের করা হয়। পরে কলেজ থেকে তাকে অটোরিকশায় উঠিয়ে নেওয়া হয়। অটোরিকশায় উঠিয়েও তাকে মারধর করতে-করতে পৌর কবরস্থানে নেওয়া হয়। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।