ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

ঢাকা: জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, মজলুম ফিলিস্তিনিদের রক্ত কোনোভাবেই বৃথা যাবে না বরং শহীদদের রক্তের পথ ধরেই বিজয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
 
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত গাজায় ইসরাইলী বর্বর বাহিনীর গণহত্যা ও হামলার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন।

বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর-১ নং গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টেকনিক্যালে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।  

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান, ইয়াসিন আরাফাত ও জামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য মু. আতাউর রহমান সরকার ও নাসির উদ্দীন,ছাত্রনেতা সালাহ উদ্দিন, আব্দুর রহিম ও আসাদুজ্জামান।

ড. এম আর করিম বলেন, ইসরাইলী বর্বর বাহিনী ফিলিস্তিনি নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার নিরাপরাধ গাজাবাসীকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। মূলত ইসরায়েলি বর্বরতা হালাকু খানের বাগদাদ ধ্বংসের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। মূলত, গাজায় জায়নবাদীরা যা করছে তা রীতিমতো যুদ্ধাপরাধের সামিল। তাই বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীকে একদিন বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। তিনি অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তজার্তিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান  জানান। অন্যথায় বিশ্ব মুসলিম ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।

তিনি বলেন, মূলত স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিনই মধ্যপ্রাচ্য সংকটের অদ্বিতীয় সমাধান। তাই মুসলিম উম্মাহ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষেই রয়েছে। কিন্তু ইহুদিবাদী দখলদাররা ভূমিপুত্রদের সেখান থেকে উৎখাত করার জন্য নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের জিঘাংসা ও প্রতিহিংসা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরাপরাধ নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও। এমনকি জায়নবাদী বর্বরতার শিকার হচ্ছে মসজিদ, গীর্জা, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সর্বোপরি তারা রাফায় হামলার হুমকি দিয়ে পুরো পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। তাই ইহুদিবাদীদের এ নির্মমতার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শুধু মুখে নিন্দা নয় বরং সংসদের নিন্দা প্রস্তাব এনে মজলুম ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করুন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।