ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও খারাপ হবে: জাগপা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪
রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও খারাপ হবে: জাগপা

ঢাকা: জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে দেশে রাজনৈতিক পরিবেশ আরও খারাপ হবে এবং আবারও বাংলাদেশ ভারতীয় আগ্রাসনে পরিণত হবে।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ছাত্র-জনতার স্মরণে’  জাগপা চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেশের জন্য জরুরি হলেও দেশকে ভারতীয় আগ্রাসনমুক্ত করা অনেক বেশি জরুরি। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কার পরিপূর্ণ না হলে নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক পরিবেশ আবারও সংঘাতময় হবে। কারণ গত পনেরো বছরে ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসনিক কাঠামো, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা,  শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করে দেশ গুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগের সেই লোমহর্ষক সিন্ডিকেটগুলো ভাঙতে হবে। যদিও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়েছে। কিন্তু তাদের প্রেতাত্মারা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন চেয়ারে খোলস পাল্টে বসে আছে। সুতরাং আওয়ামী লীগের দোসরদের নির্মূল করা না গেলে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা যাবে না।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভারতীয় চক্রান্তে বাংলাদেশে পিলখানা ট্র্যাজেডি হয়েছিল। ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র কিন্তু বাংলাদেশকে শোষণ করা হচ্ছে ভারতের প্রথম কাজ। সীমান্তে বাংলাদেশের জনগণকে পাখির মতো হত্যা করা তাদের ভয়ংকর চরিত্র। তাই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার আগে বাংলাদেশের জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।

রাশেদ প্রধান বলেন, ইতিহাসের কালো অধ্যায় ছিল ‘জুলাই-২৪’। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার যেভাবে বাংলাদেশের ছাত্র জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিরাও এমন হত্যাযজ্ঞ চালায়নি। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রদের লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কথাবার্তা পরিষ্কার শেখ হাসিনার বিচার বাংলার মাটিতেই হতে হবে। আমি জাগপার পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সব শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মোজাফফর মো. আনাছের সভাপতিত্বে এবং জাগপার সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর জাগপার সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও  বক্তব্য দেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ এস এম আজাদ, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-তথ্য সম্পাদক ওমর ফারুক, জামায়াতের কোতোয়ালি থানা সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, জাগপা চট্টগ্রাম মহানগর সহ-সভাপতি বকুল বেগম, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম, যুবদল নেতা সাহাবুউদ্দিন হাসান বাবু, যুব জাগপা নেতা মো. মুর্শিদ আলম, মো. রাসেল, মো. সোহেল, মো. আসিফ, মো. মাইনুউদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪
টিএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।