ঢাকা: রাজনৈতিক দল হিসেবে আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিলে অতিরিক্ত সময় চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
রোববার (২৬ জুলাই) দলটির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামের কাছে এ আবেদন করেন।
প্রতিনিধিদলের ওই তিন সদস্যের মধ্যে ছিলেন- আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস, উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবীর কাওসার ও আনোয়ার হোসেন।
ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দলটি আইনে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩০ দিন বেশি সময় চেয়েছে।
১৭ জুন দেশের ৪০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ২০১৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়া জন্য নির্দেশ দিয়েছিলো ইসি।
ওই নির্দেশনায় দলগুলোকে অডিট ফার্ম দ্বারা দুইটি ছকে মোট ২০ ধরনের তথ্য দিতে বলা হয়েছিলো। এক নম্বর ছক অনুযায়ী কর্মী বা সদস্যের চাঁদা, কার্যনির্বাহী কমিটি বা উপদেষ্টা পরিষদের চাঁদা বা অন্যান্য চাঁদা, বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থার অনুদান, বাড়ি ভাড়া ও অন্যান্য সম্পত্তি হতে প্রাপ্ত অর্থ, নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের অনুদান থেকে আয়ের হিসাব দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দলের পত্রিকা বা বই-পুস্তক বিক্রি, ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত সুদ, বিভিন্ন মেয়াদি আমানত ও সঞ্চয়পত্র থেকে প্রাপ্ত সুদ, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান থেকে আয় এবং বিবিধ খাতেও আয় দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় ছক অনুযায়ী কর্মীদের বেতন-ভাতা, আবাসন ও প্রশাসনিক খরচ, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসসহ বিভিন্ন ইউটিলিটি ব্যয়, ডাক-টেলিফোন-ইন্টারনেট-কুরিয়ার সার্ভিস ও পত্রিকা বিল বাবদ ব্যয় দেখাতে বলা হয়। সেই সঙ্গে আপ্যায়ন ব্যয়, পোস্টারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণার ব্যয়, যাতায়াত, প্রার্থীদের অনুদান, নির্বাচনী ব্যয় ও বিবিধ খাতেও ব্যয় দেখাতে বলা হয়।
তবে এ পর্যন্ত কেবল বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিগত বছরে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। দলটি হিসাবে আয় দেখিয়েছে তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ব্যয় দেখিয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
আইন অনুযায়ী দলগুলোকে প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিগত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হয়। পরপর তিন বছর কোনো দল হিসাব জমা না দিলে নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।
গত বছর ২৫ টি দল সময় মতো হিসাব দিয়েছিলো। তবে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দলের সময় বাড়ানোর আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় বাড়িয়েছিলো নির্বাচন কমিশন।
জানা যায়, দুই বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব ঠিকমতো না দেওয়ায় এবারই শেষ সুযোগ পাচ্ছে গণফ্রন্ট।
এ ব্যাপারে ইসি কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের সময় বাড়ানোর আবেদনের বিষয়টি কমিশনের বৈঠকে আলোচনার জন্য উত্থাপন করা হবে। কমিশন অনুমোদন দিলে দলটি সময় পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৫
ইইউডি/এসইউ