ঢাকা: জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আমরা জাতির পিতাকে কোন রাজনৈতিক দলের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না।
বুধবার দুপুরে (৯ সেপ্টেম্বর ) জাতীয় শোক দিবসের ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. মিলন হলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি চাই একদিন আমার পাশে বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকরাও এক সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অপর্ণ করবেন।
মন্ত্রী বলেন,‘দল, মত নির্বিশেষে সবকিছুর উপরে বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু সার্বজনীন। আশাকরি, অচিরেই জাতীয় শোক দিবস সার্বজনীনভাবে পালিত হবে। জীবিত বঙ্গবন্ধু, মৃত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে আরো বেশি শক্তিশালী। ভবিষ্যতে এ শক্তি আরো বাড়বে বলেই মনে করছি।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকুক, তা আমরা চাই না।
বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালের সঞ্চালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন মিয়া, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.কামরুল হাসান খান বলেন, জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের একমাত্র মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে “ রোগীর সেবায় হই আরো যত্নবান” এ থিমকে সামনে রেখে ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে যেন মহান ত্যাগে মহিমান্বিত বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ আমাদের কর্মের মধ্য দিয়েও প্রতিফলিত হয়।
বঙ্গবন্ধু দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তাঁর সমগ্র জীবন ব্যয় করেছেন। নিজের জীবন দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবেসেছেন। আমরা প্রত্যেকে যদি যে যেখানে আছি, নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করি তবে সেটাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা নিবেদন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৫
এমএন/আরইউ/আরআই