ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সমৃদ্ধির জন্য সমাজতন্ত্র ছাড়া উপায় নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৫
সমৃদ্ধির জন্য সমাজতন্ত্র ছাড়া উপায় নেই ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

ঢাকা: সমৃদ্ধি এবং বৈষ্যমহীন সমাজ গঠনের পথে এগুতে হলে সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে সামাজিক অর্থনীতি অনুসরণ ছাড়া উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
 
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে মাও সে তুং এর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এমএল) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।


 
দলটির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং চিয়াং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, বাবুল বিশ্বাস, ইনু শিকদার ইনু প্রমুখ।
 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজতান্ত্রিক বাজার অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে চীন এগিয়ে গেছে। তারা বুঝতে পেরেছিলো, গরীব মানুষের পক্ষে সমাজের চাহিদার প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে। উন্নয়নশীল দেশকে উন্নত করতে হলে সমাজতন্ত্র ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। বাংলাদেশের মত দেশের ক্ষেত্রে অসম বিশ্বায়ন মোকাবেলা করতে হলে সমাজতন্ত্রই একমাত্র পথ। এজন্য সংবিধান রচনার সময় অন্যতম নীতি করা হয়েছিলো সমাজতন্ত্র। যার ভিত্তিকে বেয়নেটের খোঁচায় ১৫ আগস্টের মাধ্যমে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো। পরবর্তীতে ১৫তম সংশোধনীর মধ্য দিয়ে এই নীতির প্রত্যাবর্তন হয়েছে। এখন আবার অন্যতম রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে সমাজতন্ত্র শোভা পাচ্ছে।
 
তিনি বলেন, মাও সে তুং এরও একই শিক্ষা রয়েছে। উন্নয়নের পথে, সমৃদ্ধির পথে, বৈষ্যমহীন সমাজ গঠনের পথে এগুতে হলে সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে সামাজিক অর্থনীতি অনুসরণ ছাড়া উপায় নেই।
 
চীন যেমন সমাজতন্ত্রের পথে হেঁটে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে গেছে, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে হলে অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের মাধ্যমে এবং সামাজিক অর্থনীতি অনুসরণ করার মধ্য দিয়েই এগুতে হবে।
 
এ সময় মা সে তুং এর জীবন ধারা ও আদর্শ পড়াশোনার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে পারলে আমাদের সংগ্রাম সহজ হবে, দ্রুত উন্নতি করবো এবং দ্রুত মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করবো। কেননা, চীন অনেক আঁকাবাঁকা পথ অনুসরণ করলেও লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়নি। তাই তারা সফল হয়েছে।
 
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে একবার স্বাধীন হয়েছি। কমিউনিস্টরা আন্দোলন করেছি সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে মুক্তির পথ খুঁজে পাবো বলে। কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর মধ্যে পুঁজিবাদী ভাবধারা ছিলো বলে বিপ্লবী চেতনাকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিতে পারিনি। কিন্তু গণচীনে মাও সে তুং নিতে পেরেছিলেন। সেখানে গান্ধী ছিলো না বলে কমরেড মাও সে তুং সেই বিপ্লবকে সফল করেছিলেন। তাই চীনের জনগণ মুক্তি স্বাদ পাচ্ছে।
 
তিনি বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ প্রধান দুশমন হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাই শেখ হাসিনা যে সংগ্রাম করছে তা শক্তিশালী করতে হবে। কেননা, দেশ কঠিন সময়ের মধ্যে এগুচ্ছে। জঙ্গিরা সফল হলে আমাদের সমাজতন্ত্রের আন্দোলন ভেস্তে যাবে। তাই মাও সে তুং থেকে শিক্ষা নিয়ে এগুতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৫
ইইউডি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।