ঢাকা: মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে গবেষকদের দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন-দর্শন, চিন্তা এবং আন্দোলন-সংগ্রামের ওপর সম্পূর্ণ জীবনীগ্রন্থ তৈরি করা প্রয়োজন। তিনি কেবল এই অঞ্চলের জাতীয় নেতাই ছিলেন না, একজন আন্তর্জাতিক নেতাও ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘মাওলানা ভাসানী: লিডার অব দ্য টয়লিং মাসেস’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আলোচকরা এ কথা বলেন। মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন এবং অ্যাডর্ন পাবলিকেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
উত্তর আমেরিকার প্রকাশনা সংস্থা জিলব্রিস করপোরেশন এবং আমেরিকা থেকে প্রকাশিত বইটি বাংলাদেশে নতুন সংস্করণের জন্য অ্যাডর্ন পাবলিকেশন উদ্যোগ নিয়েছে। সে উপলক্ষেই এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন প্রফেসর অ্যামেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, মাওলানা ভাসানী ছিলেন একজন সমাজ বিপ্লবী।
অধ্যাপক চৌধুরী বলেন, মাওলানা ভাসানী আমাদের নেতা ছিলেন কিন্তু তিনি একইসঙ্গে একজন আন্তর্জাতিক নেতা। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেও তার লড়াইটা ছিল সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে। তাই তার জীবন-দর্শন, চিন্তা-সংগ্রাম আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরা দরকার।
আলোচনায় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য বামপন্থীদেরই সবচেয়ে বেশি দায়ী বলে মন্তব্য করেন।
আলোচনায় সাংবাদিক মাহফুজ ইল্লাহ বলেন, পাঠ্য বই থেকে মাওলানা ভাসানীর জীবনী বাদ দেওয়া হয়েছে। এই হীনমন্যতা কখনওই কাম্য নয়।
ইংরেজি দৈনিক নিউএজ’র সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, একটি জাতি যখন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এমনকি ঐতিহ্যগতভাবে সঙ্কটের মধ্যে পড়ে তখন রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। সে জন্যই মাওলানা ভাসানীকে অস্বীকার করা হচ্ছে আজ, তাকে অসম্মান করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, প্রকৌশলী ম ইনামুল হক এবং মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি শামসুল আরেফিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নুরুল কবির।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫
এমএইচপি/আইএ