ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘কীভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে বিএনপি?’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
‘কীভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে বিএনপি?’

ঢাকা: জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের আন্দোলন সংগ্রাম নিয়ে হতাশ খোদ দলের নেতাকর্মীরাই।

বুধবার (২১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১’ আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় এ হতাশা ব্যক্ত করেন নেতাকর্মীরা।



এদিন বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে “রাজনীতির অস্থিরতা: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার শীর্ষক” আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১’।  

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।

সভা শুরুর পর বেশ খানিকটা সময় কেটে গেলেও তিনি না আসায় আয়োজক সংগঠনের নেতারা আলোচনার মাঝে বার বারই বলছিলেন প্রধান অতিথি কিছুক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত হবেন।

কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানা যায় দুদকের মামলা থাকায় আব্দুল্লাহ আল নোমান আসবেন না। এরপরই সভা কাভার করতে যাওয়া সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের প্রায় সবাই চলে যান। পরে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক সচিব ব্যারিস্টার হায়দার আলী।

প্রধান অতিথির বক্তৃতার শুরুতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে হায়দার আলী বলেন, এই যদি হয় আন্দোলনের নমুনা, তাহলে কিভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। এখানে যারা আগে বক্তৃতা করেছেন তারা চলে গেছেন, মঞ্চের সামনে যারা ছিলেন তাদেরও দুই তৃতীয়াংশও নেই। তারাই নাকি আবার বড় কর্মসূচি দেবেন। সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবেন।

তিনি আরও বলেন, কাজীর গরু কাগজে কলমে আছে গোয়ালে নেই। বর্তমানে বিএনপি নেতা কর্মীদের যে অবস্থা তাতে আন্দোলন করে কোন লাভ নেই।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত? আমাদের শিক্ষা হওয়া দরকার আজ আমাদের এই পরিণতির জন্য আমরাই দায়ী। একজন একটা প্রোগ্রাম আয়োজন করেছেন কিন্তু কথা দিয়েও আমরা আসতে পারি না। তাহলে দেশনেত্রী কাদের নিয়ে আন্দোলন করবেন।

তার আগে বক্তৃতা করেন সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার। বক্তৃতার শুরুতেই তিনি বলেন, আপনাদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছেন, কারো কোন উৎসাহ নেই। কীভাবে আমরা সংগ্রামে জয়ী হবো।

২০ দলীয় জোটের নেতা লেবার পার্টির সভাপতি ডা মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের ডাক দিয়ে কাউকে পাওয়া যায় না। তাহলে কিভাবে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবেন।

তিনি বলেন, বতর্মান সরকারের আমলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের লোকদের উপর যত নির্যাতন করা হয়েছে, অতীতে তা আর কারো আমলেই হয়নি।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, ‘জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপন। অনুষ্ঠানে বিএনপির মধ্যম সারি আরো কিছু নেতা বক্তৃতা করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
এসএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।