ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আইএস নেই, জুজুর ভয় দেখিয়ে খালেদার ষড়যন্ত্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
আইএস নেই, জুজুর ভয় দেখিয়ে খালেদার ষড়যন্ত্র ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক এস্টেটের (আইএস) কোনো সদস্য নেই দাবি করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, জুজুর ভয় দেখিয়ে খালেদা জিয়া বিদেশে বসে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।
 
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী।


 
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই, আইএস নেই। নাম ভাঙিয়ে, জুজুর ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে খালেদা জিয়া বিদেশে বসে একটার পর একটা ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশকে দুর্বল ও শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।
 
বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশে বছরের পর বছর ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে দাবি করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে এ বছর তিন মাস একটানা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু জনগণ তা হতে দেয়নি।

খালেদা জিয়ার অপচেষ্টাকে নস্যাৎ করতে জনগণকে ধন্যবাদ জানান মায়া।
 
‘এসব করেও যখন তারা দেখল শেখ হাসিনার সরকারকে কোনভাবে ব্যাহত করা যায় না, তখন তারা নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান বিভেদ সৃষ্টির জন্য হোসেনী দালানে বোমা হামলা হয়েছে। দুজন বিদেশিকে হত্যা করে এ দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। আরও চেষ্টা চলছে বলে বিভিন্ন পত্রিকা থেকে খবর পাচ্ছি’- যোগ করেন মায়া।
 
একাত্তর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যারা স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেননি তারা বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মায়া বলেন, একাত্তর-পঁচাত্তর এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। একই পরাজিত শক্তিকে মদদ দিয়েছেন জিয়াউর রহমান এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া, পুত্র তারেক রহমান।
 
বিএনপির নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে মায়া বলেন, পরিষ্কার করে বলতে চাই ২০১৯ সালের এক দিন আগেও নির্বাচন হবে না। যতই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেন, বিদেশি হত্যা করেন, মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান হত্যার চেষ্টা করেন। একাত্তরে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি, সোনার বাংলা গড়তে জীবন দিতে পিছুপা হব না।  
 
‘দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং এর সুফল’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ।
 
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে মন্ত্রী মায়া বলেন, অতীতের নির্বাচনগুলো পক্ষান্তরে দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে যেত। প্রার্থীরা পাস করার পরে বলে আমি ‘স্বতন্ত্র’, এতে দায় দায়িত্ব থাকে না। জনগণের কাছে কমিটমেন্ট পূরণ করতে পারে না। এটা দীর্ঘ দিন শেখ হাসিনা উপলব্ধি করেছেন। এজন্য এখন থেকে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে হবে।
 
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলগুলো দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এতে দলের মেন্যুফেস্টো-কর্মসূচির বাইরে কাজ করা কঠিন হয়ে যাবে। দলীয় প্রতীকে হলে কর্মীরাও ঠিকানা খুঁজে পাবেন, সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে।
 
অচিরেই স্থানীয় সরকারে নির্বাচন হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা নির্বাচনের চিন্তা-ভাবনা করেন, তারা দলীয়ভাবে এখন থেকে প্রস্তুতি নেবেন। দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহ জালাল পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ, দপ্তর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিলন, শ্রম সম্পাদক খন্দকার মো. মকবুল হোসেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সমাদ্দর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
এমআইএইচ/এইচআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।