ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বিএনপি

মেয়র পদে প্রার্থিতা রুখতে কমিটি থেকেই বাদ যুগ্ম আহ্বায়ক!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
মেয়র পদে প্রার্থিতা রুখতে কমিটি থেকেই বাদ যুগ্ম আহ্বায়ক!

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির এক যুগ্ম আহ্বায়ককে বাদ দিয়ে মনগড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতারা।

মূলত আসন্ন পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থিতা থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল কবীর জেবিনকে দূরে রাখার জন্যই দলের ভেতরের একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে তাকে বাদ দিয়েছে বলেও দাবি তাদের।

     

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত প্রায় ৬ মাস আগে ফিরোজ আহাম্মেদ বুলুকে আহ্বায়ক ও জেবিনসহ ১১ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পৌর বিএনপির কমিটি গঠিত হয়। পরে কমিটির নেতারা পৌর এলাকায় ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করলেও ৯ নং ওয়ার্ডের কমিটি এখনো গঠিত হয়নি।  

ওয়ার্ড নেতাদের অভিযোগ, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ওয়ার্ড নেতাদের না জানিয়ে বুলুকে সভাপতি এবং নূরে আলম জিকুকে সাধারণ সম্পাদক করে সম্মেলন ছাড়াই ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বিএনপির মনগড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খুররম খান চৌধুরী। এক্ষেত্রে মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বিএনপির ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি লিয়াকত আলী বুলু।  

তার অভিযোগ, ওয়ার্ড নেতাদের না জানিয়ে খুররম খান টাকা পয়সার বিনিময়ে মনগড়া পকেট কমিটি গঠন করেছে। আমরা এ কমিটি মানি না।

স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম রতনের অভিযোগ, আসন্ন পৌর নির্বাচনে আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল কবীর জেবিন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। দলের কর্মীদের বিপদ-আপদে তিনি কাজ করছের। কিন্তু জেবিনকে দলীয় মনোনয়ন থেকে দূরে রাখার জন্য সম্মেলন ছাড়াই তাকে বাদ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আ. ছাত্তার জানান, জিকুর সঙ্গে ওয়ার্ড নেতাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু তাকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে। আর জেবিনের পক্ষে ওয়ার্ডের সব নেতাদের সমর্থন থাকলেও তাকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ জেবিন আহ্বায়ক কমিটির একজন যুগ্ম আহ্বায়ক।    

একই অভিযোগ ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লতিফ ভাণ্ডারি ও ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি মানিক মিয়ার। তারা জানায়, দলের গঠনতন্ত্র না মেনে পকেট কমিটি করে দলকে দূর্বল করা হয়েছে। আহ্বায়কের এ স্বেচ্ছাচারিতা আমরা মানবো না। প্রয়োজনে আমরা বিষয়টি নিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করবো।

‌ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম জেবিন জানান, শুনেছি আমাকে বাদ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে। আহ্বায়ক কমিটির একজন যুগ্ম আহ্বায়ক হওয়ার পরও কেন আমাকে সদস্য পদও দেওয়া হয়নি বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি আমি দলের র্শীষ নেতাদের অবহিত করবো।     

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খুররম খান চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে নবগঠিত ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহাম্মেদ বুলু জানান, কাকে কমিটিতে রাখা হবে আর কাকে বাদ দেয়া হবে, তা জেলার নেতারাই বলতে পারবেন। তবে সম্মেলন করেই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
এমএএম/জেডএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।