ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী কার্যালয় থেকে: সারা দেশের পৌর নির্বাচন মনিটরিং করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। সকাল থেকেই সভানেত্রীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে তারা একে একে আসতে থাকেন।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে এসে পৌঁছান দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। এসময় তারই নির্দেশে সকাল ৮টার পর বিএনপির দফতর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।
সকাল ১০টার দিকে ধানমন্ডি অফিস থেকে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে যায় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। এরপর দলের অফিসে চলে আসেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মাহবুব-উল আলম হানিফ। তারা যৌথভাবে দুপুর ১২টায় দলীয় বিফ্রিং করেন।
বিকেল ৪টায় নির্বাচন নিয়ে পরবর্তী বিফ্রিং করবেন মাহবুব-উল আলম হানিফ।
নির্বাচন নিয়ে সকালে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় খালেদ মাহমুদ বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলুক এটা বিএনপির উদ্দেশ্য নয়, তাদের উদ্দেশ্য বিশৃঙ্খলা। তারা নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র করছে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের কোন খেলা পর্যন্ত তারা থাকে তা বলা যাচ্ছে না।
দুপুর ১২টায় মাহবুব-উল আলম হানিফ দলীয় বিফ্রিংয়ে বলেন, দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারাদেশে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। সাংবাদিকদের উপর বিএনপি পরিকল্পিতভাবে ককটেল হামলা করেছে।
সাতকানিয়ার একজন নিহত হওয়ার ঘটনা নির্বাচনী সহিংসতা না বলে তিনি দুই প্রার্থীর সামাজিক দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন। এছাড়াও হানিফ বলেন, ভোটের হার যখন বাড়ছে তখন বিএনপির শঙ্কাও বাড়ছে। যতই সময় যাচ্ছে ততই তারা নিশ্চিত পরাজয়ের দিকে যাচ্ছে।
দেশের ২৩৪ পৌরসভায় প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে চলছে ভোটযুদ্ধ। এবারই প্রথম দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচন হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নৌকা ও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে হচ্ছে মূল লড়াই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সহিংসতা বাদ দিয়ে আন্দোলন ও রাজপথে ফিরতে পৌর নির্বাচন বিএনপির কাছে একটি চ্যালেঞ্জ। আর জনপ্রিয়তা অব্যাহত রাখা আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ।
যে কারণে পৌরসভা নির্বাচন অতীতের যেকোনো পৌর নির্বাচন থেকে আলাদা গুরুত্ব বহন করছে।
বাংলাদেশ সশয়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এএ/