নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু রায়হান (৪২) হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জাহিদুল ইসলাম (২৯) নামে অপর এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
জাহিদুল ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাঝগাঁও ইউনিয়নের বাহিমালি গ্রামে সপরিবারে শ্বশুর ওসিমুদ্দিন প্রামাণিকের বাড়িতে বসবাস করতেন।
আবু রায়হান গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য গণসংযোগ করছিলেন।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে আবু রায়হান তার চাচা বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত এশারত আলীর মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাহিমালি গ্রামে ফেরার পথে নিখোঁজ হন।
শনিবার সকালে বাহিমালি গ্রামের লোকজন স্থানীয় একটি আমবাগানের গাছের ডালে তার মৃতদেহ ঝুলতে দেখেন। এ সময় মৃতদেহটির দুই পা রশি দিয়ে বাধা ছিলো। তার পরনে প্যান্ট-শার্ট ও গলায় মাফলার ছিলো।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আবু রায়হান ওয়ার্ড সদস্য পদে নির্বাচন করতে চাওয়ায় বর্তমান সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মসগুল আজাদের পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ওই দ্বন্দ্বের কারণে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে তারা দাবি করেন।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ পরিদর্শক (এসআই) দয়াল কুমার ব্যানার্জী জানান, রোববার বিকেলে পুলিশ রায়হান হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জাহিদুল ইসলাম (২৯) নামে ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে।
জাহিদুল ইসলাম মাঝগাঁও ইউপির ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মসগুল আজাদের ভাই। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, নিহত আবু রায়হানের বিরুদ্ধে ওই গ্রামের কৃষক মোতালেব হোসেনকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা রয়েছে। গত বছর ৬ এপ্রিল রাতে তাকে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
আরএ