ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যত বিতর্ক হবে ততই সত্য বেড়িয়ে আসবে এবং আওয়ামী লীগের ভূমিকা কী ছিল তা জানা যাবে বলে মন্তব্য বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের।
মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়ে অনুশোচনা আছে এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এ কারণেই তারা বিএনপি নেতাদের নামে মামলা দিচ্ছে ।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, একদলীয় রাজত্বেই গবুচন্দ্র মন্ত্রীরা বিরোধীদল ও নেতা-নেত্রী সম্পর্কে দিনরাত অষ্টপ্রহর হুমকি আর কুশ্রাব্য কথা বলতে পারে। এর মধ্যে এগিয়ে আছেন ভোটারবিহীন সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তার বক্তব্য, বিবৃতি পড়লে মনে হয় বিএনপি ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কথা বলতে পারার ওপর তার মন্ত্রীত্ব নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, ৭২-৭৫ সালে আওয়ামী লীগের শাসনামলে রক্ষীবাহিনীর হাতে জাসদের ৩০/৩৫ হাজার নেতাকর্মী মারা গেছে। এই অভিযোগ যদি সত্য হয় তাহলে ইনু তার দলের শহীদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে হত্যাকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন শুধু ক্ষমতার জন্য।
জঙ্গিবাদের উত্থানের জন্য তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে দায়ী করে রিজভী বলেন, দেশবাসী ও বিশ্ববাসী ৭০ দশকের প্রথমার্ধে ইনুদের গণবাহিনীর
সহিংস তাণ্ডব দেখেছে। সেই সময়ে ইনুদের আচরণ ছিল লাদেন-জাওয়াহেরী ও শায়খ আব্দুর রহমানদের সমতুল্য। ইতিহাসে মীরজাফরের যে স্থান ইনুরা সেই স্থানেই থাকবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, অচিরেই দেশে গণহত্যাবিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নিধন, বিচারবহির্ভূত হত্যার ইন্ধনদাতা হিসেবে মানুষের
আদালতে যাদের বিচার হবে তাদের মধ্যে ইনু ও বিচারপতি
খায়রুল হক ফাইনাল লিস্টেই থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন আলম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
এমএম/এএ