ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা স্থগিত চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা দুই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম যে অবস্থায় আছে সেভাবেই চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রোববার (১৫ মে) এ আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ০৪ থেকে ১০ মে আদালতে শুনানি করেন উভয়পক্ষ।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, এখন বিচারিক আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম যে অবস্থায় আছে সেভাবেই চলবে।
গত ১৮ এপ্রিল খালেদা জিয়ার পক্ষে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা স্থগিত চেয়ে আবেদনটি জানান তার আইনজীবী। একই সঙ্গে তার করা দু’টি আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতের দেওয়া আদেশের পুনর্বিবেচনার (রিভিশন) আবেদন জানান খালেদা।
পরে বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে ২১ এপ্রিল অবকাশকালীন ছুটি শেষে নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। সে অনুসারে গত ০৪ মে ওই বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দু’টি মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে।
গত ১৭ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদের পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার দু’টি পৃথক আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আবেদন দু’টির পক্ষে শুনানি করেন খালোদার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। শুনানি শেষে আবেদন দু’টি খারিজ করে দেন আদালত।
এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
আগামী ১৯ মে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৩৪২ ধারায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপেক্ষের সাক্ষীকে আসামিপক্ষের জেরা ও নতুন সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে বিচারিক আদালতে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৬
ইএস/এএসআর