যশোর: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় যশোরের কেশবপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের আরও ২০ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
রোববার (২২ মে) উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, ২৮ মে কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের (প্রতীক: নৌকা) বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাদের দলীয় পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এরা হলেন-কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এস এম বাবর আলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মহিবুর রশিদ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুকান্ত বিশ্বাস বাবু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাস্টার শওকত হোসেন, সহ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এস এম মাহাবুর রহমান উজ্জ্বল, সদস্য আব্দুল খালেক মোল্যা, সদস্য সুভাষ দেবনাথ, কেশবপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজ উদ্দীন, সদর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি দীপক মুখার্জি, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম দফাদার, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আমানাত আলী, সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক আজিবর রহমান, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আজগার আলী, পার্থ সারথী রায় চৌধুরী, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হাসেম আলী শেখ, যুগ্ম-আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, গৌরীঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মুস্তাফিজুর রহমান কাজল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম ও সদস্য এস এম লুৎফর রহমান।
কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন বাংলানিউজকে বলেন, বিগত ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে যারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজিত করেছেন; আসন্ন নির্বাচনেও তারা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আতাত করে নৌকার প্রার্থীদের বিপক্ষে অবস্থন নিয়েছেন। ফলে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় ১৫ মে উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদের ১২ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৬
এসআই