ঢাকা: সরকারের অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের কারণে একদিকে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে দেশে জঙ্গিবাদী-মৌলবাদী তৎপরতার সুযোগ আরও বিস্তৃত করছে। তাই ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির যুগপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক এ পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, নাগরিক ঐক্যের প্রধান উপদেষ্টা এস এম আকরাম, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, বাম মোর্চার নেতা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, জোনায়েদ সাকি, মানষ নন্দি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সরকার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। টার্গেট কিলিং মানুষের মধ্যে গভীর আতঙ্ক তৈরি করেছে।
‘ঘাতকদের গ্রেফতার করার চেয়ে এসব লোমহর্ষক ঘটনা থেকে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের অপকৌশল চলছে। যে কারণে ঘাতকেরা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। কেবল প্রচার সর্বস্ব গণ গ্রেফতার করে এর সমাধান করা যাবে না। ’
তারা বলেন, দেশের বিদ্যমান সঙ্কটের উৎস রাজনৈতিক। তাই রাজনৈতিকভাবেই এ সঙ্কটের উত্তরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তন বা প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ বন্ধ হয়ে গেলে দেশে নৈরাজ্য আরও ঘণীভূত হবার আশঙ্কা রয়েছে।
‘যা কেবল সরকার নয়, সমগ্র দেশ ও জনগণের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। ’
তাই এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সব প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি ও দেশপ্রেমিক জনগণের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৬
এসএস/এমএ