ঢাকা: ঈদের অল্প কয়েকদিন আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ।
কিন্তু সে চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি সাংবাদিক শফিক রেহমান।
হাইকোর্টে জামিন না পেয়ে আপিল করলে আপিল বিভাগ তার জামিন আবেদনের শুনানির দিন রেখেছেন আগামী ১৪ জুলাই। এ কারণে কারাগারেই ঈদ কাটাতে হচ্ছে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে।
একই অবস্থা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নারও। যিনি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন।
কারাগারে ঈদ করতে হবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী, মাওলানা আবদুস সুবহান ও এটিএম আজহারুল ইসলামকেও।
প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার পরিকল্পনা মামলায় গত ১৬ এপ্রিল ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার হন সাংবাদিক শফিক রেহমান। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
এর একদিন আগে ১৫ এপ্রিল রাতে গ্রেফতার হন গাজীপুরের মেয়র এম এ মান্নান।
২০১৩ সালের ১ এপ্রিল দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
সরকার উৎখাত একটি কথোপকথন ফাঁস হওয়ায় গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সম্পূরক চার্জশিটে নাম আসায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আরিফুল হক চৌধুরী। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেফতার হন জামায়াত নেতা এটিএম আজহার। জামায়াতের অন্য শীর্ষ নেতাদের মতো তিনিও মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হয়েছেন।
ওয়ান ইলেভেনের জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ১৮ জানুয়ারি গ্রেফতার হন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম।
২০১০ সালের ২৯ জুন শহীদবাগের বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গ্রেফতার করে। পরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিল বিভাগ তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন।
জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে পাবনা যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পূর্ব টোল প্লাজা এলাকা থেকে আটক হন। মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন এ জামায়াত নেতাও।
জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলের দৈনিক নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মানবতাবিরোধী অপরাধে এ নেতাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ড পুর্নবিবেচনা চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। যার শুনানি হবে আগামী ২৫ জুলাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৫,২০১৬
ইএস/এমএ/এএসআর