ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে নিরাপত্তা ঘাটতির সুযোগে ষড়যন্ত্র হয়েছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬
প্রধানমন্ত্রীর বিমানে নিরাপত্তা ঘাটতির সুযোগে ষড়যন্ত্র হয়েছে

হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা: হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ নিরাপত্তা ঘাটতির সুযোগ নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ সব কথা বলেন।

কাদের বলেন, আজকে যে তদন্ত রিপোর্ট এসেছে সেখানে নিরাপত্তা ঘাটতি নিশ্চই ছিল। সেটা না হলে নাট-বল্টু কি করে ঢিলা হয়। আর এ নিরাপত্তা ঘাটতির সুযোগ নিয়ে নাট-বল্টু ঢিলা করা এটাও যে একটা ষড়যন্ত্র নয় সেটা তো আমরা বলতে পারি না, কাজেই ষড়যন্ত্র চলছে। উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অর্জনে আমাদের যে অগ্রযাত্রা সেটাকে ব্যহত করা যাবে না।  

শেখ হাসিনার কাজের যে বিস্ময়কর সাফল্য, যে গতি এ গতিকে আঘাত করে, বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে তারা (ষড়যন্ত্রকারীরা) সফল হচ্ছে না। তারা মনে করেছে যার কারণে বাংলাদেশের সাফল্য এবং সারা দুনিয়ার দৃষ্টি আজ বাংলাদেশের দিকে। যার কারণে আজকে বাংলাদেশের এ সাফল্য, যিনি আমাদের সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্স তিনি শেখ হাসিনা। তাকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত কাজ করছে না এ কথা আমরা বলতে পারি না। সংগত কারণেই আমরা ভাবছি বিভিন্ন কারণেই আজকে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে আমাদের নেত্রীকে ফিজিক্যালি আক্রমণ করার চেষ্টা আছে।  

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, মামলা যখন হয়ে গেছে তখন এটা বিচারাধীন বিষয়। মনুষ্য সৃষ্টির বিষয়টি আদালত দেখবে। মন্ত্রী দায় নেবেন, কী নেবেন না এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি। মন্ত্রীর বিষয়ে মন্তব্য করার এখতিয়ার আমার নেই।

এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, একেএম এনামুল হক শামীম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৬ 
এসকে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।