মঙ্গলবার (০৬ জুন) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এ ইফতার মাহফিল আয়োজন করে।
খালেদা জিয়া বলেন, নির্বাচন এলে ওরা (আওয়ামী লীগ) সুন্দর সুন্দর কথা বলবে; মিথ্যা কথা অনেক বলবে, অনেক উন্নয়নের ফিরিস্তি দেবে। কিন্তু আপনি যদি হিসাব চান, তখন তারা হিসাব মেলাতে পারবে না।
তারা (আওয়ামী লীগ) এবার যে বাজেট দিল, সেখানে মানুষের পকেটেও হাত দিয়েছে। এখন ব্যাংকে এক লাখ টাকা থাকলে ৮শ টাকা কেটে নেবে। ফলে এখন আর কেউ ব্যাংকে টাকা রাখার সাহস করবে না। অর্থমন্ত্রী বলে, এক লাখ টাকা যার আছে, সে নাকি বড়লোক- বলেন খালেদা জিয়া।
২০১৬ সালকে আওয়ামী লীগের ব্যাংক চুরির বছর হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ব্যাংকের টাকা চুরি করতে করতে তারা (আওয়ামী লীগ) শেষ পযর্ন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকে গেছে। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকাও চুরি করে পাচার করেছে।
তিনি বলেন, মানুষ যখন তদন্ত দাবি করেছে তখন বলা হল বাংলাদেশ ব্যাংকে তদন্ত রিপোর্ট রাখা ছিল। সেখানে আগুন লেগেছে। আগুন ধরে গেল কী কারণে সেটা বুঝতে হয়তো মানুষের বাকি নেই। আগুন ধরার কারণ হল- রিপোর্টে যাই থাকুক, ওটা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দেওয়া।
দেশে প্রতিনিয়ত যেভাবে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, ঠিক তেমনিভাবে দ্রব্যমূল্যও বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। আওয়ামী লীগ মানুষকে আশা দিয়েছিল ১০টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। আজকে ৫০/৬০ টাকা কেজি চাল। চল্লিশ/পঞ্চাশ টাকার নিচে সবজি পাওয়া যায় না।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য’র পর এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মঞ্চে ইফতার গ্রহণ করেন খালেদা জিয়া।
পুরো আয়োজন সমন্বয় এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম।
জোট নেতাদের মধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে মঞ্চে ইফতার গ্রহণ করেন, জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের আমির অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রাকিব, খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান পেশোয়ারি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) মহাসচিব আব্দুল মতিন সাউদ, জাগপার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক রেহেনা প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাঈফুদ্দিন আহমেদ মনি, পিপলস লীগের সভাপতি গরীবে নেওয়াজ, মুসলীম লীগের চেয়ারম্যান এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যানন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
হলরুমের সামনের সারিতে ইফতার গ্রহণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রাই চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মুহম্মদ রহমতউল্লাহ, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, মুসলীম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৭
এজেড/এসএইচ