ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৭
‘স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ সমাবেশের অতিথি ও আলোচকরা। ছবি: বাংলানিউজ

পাবনা: বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী  বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নিজামী-সোবহানের মতো যুদ্ধাপরাধীরা বাংলার মানুষের রক্ত দিয়ে হোলি খেলায় মেতেছিলেন। পুঁজিবাদী বিশ্ব তখন বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। কঠিন দুঃসময়ে বাঙালি জাতির পাশে বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিল সমাজতান্ত্রিক দেশ রাশিয়া। তাই সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের কাছেও চিরকৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি’।

বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেলে পাবনার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল পৌর মুক্তমঞ্চে (টাউন হল প্রাঙ্গণ) রুশ বিপ্লবের শতবর্ষ উদ্‌যাপনের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। পাবনা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির এ সমাবেশের আগে শোভাযাত্রা বের করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, বিপ্লবের শতবর্ষে হাজারো বিপ্লবী পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তনে সংগ্রাম করেছেন। যুগে যুগে বিপ্লবীদের হত্যা করা হয়েছে পুঁজিবাদীদের নির্দেশে। আজও ষড়যন্ত্র চলছে। এই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, মুক্তিকামী মানুষ, শ্রমিক-কৃষক, দিনমজুর স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের জন্য, একটি পতাকার জন্য জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। এই স্বাধীনতাকে রক্ষায় এখন সংগ্রাম করছি আমরা। দেশের শত্রু আর বিদেশি ষড়যন্ত্রের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহবান জানান তিনি।

জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড ইয়াসিন আলী এমপি ও দীপঙ্কর সাহা দীপু, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম,  জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি সুলতান আহম্মেদ বুরো, জেলা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতি রেজাউল করিম মনি, জেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি নাসির চৌধুরী, কমরেড সিরাজুল ইসলাম ও শরিফ বিশ্বাস প্রমুখ।

জাতীয় ও জাগরণী সঙ্গীত পরিবেশনের পর সমাবেশের শুরুতে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পুঁজিবাদ নয়, সমাজতন্ত্রই মানবমুক্তির একমাত্র পথ। চলমান বিশ্ব ও জাতীয় পরিস্থিতিতে শোষণ মুক্তির লক্ষ্যে শ্রমিক, কৃষক, দিনমজুর ও সাধারণ জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে বেগবান করতে ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবেরও আহবান জানান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।